কলকাতা: শেখ শাহজাহান কোথায়? সেই বিতর্কে নতুন মাত্র যোগ করেছে সিপিএমের সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের মন্তব্য। তিনি জোর গলায় দাবি করছেন, ইডি আধিকারিদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা রায়ের আশ্রয়েই ছিলেন শাহজাহান। ছিলেন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তাঁর এ দাবি ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন মনিকা দেবী।
যদিও নিরাপদ সর্দার বলছেন, নানা নাটক তো কদিন হচ্ছে। অথচ আমাদের কাছে খবর আছে ও সন্দেশখালির ছোট কলাগাছি নদী পেরিয়ে কোড়াকাটিতে গিয়েছে। কোড়াকাটির প্রধানের বাড়িতেই সে রাতে ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে নানাভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। অথচ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশ সব জানে। কী খাচ্ছে, কী করছে সব জানে ন্যাজাট থানার পুলিশ। আমার মনে হয় শেখ শাহজাহান যে টাকা কামিয়েছে সন্দেশখালি থেকে তা তো ও একা ভোগ করেনি। তাই ও ধরা পড়লে অনেক রাঘববোয়ালের নাম যে আসবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সন্দেশখালিতেই আছে। এখানেই ওর আসল নিরাপত্তা।
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে প্রথমে অন্তরালে থেকে মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি যুক্ত হতে চাইছেন না। এরই মধ্যে এসেছে যৌথ তদন্তের নির্দেশ। শাহজাহানকে খুঁজতে এবার তদন্ত করবে সিবিআই। ইসলামপুরের এসপি-র নেতৃত্বে যৌথ সিটও গঠন করা হয়েছে। ন্যাজাট থানাকে রাখা হয়েছে তদন্তের আওতার বাইরে। এরপরেও কী বিরোধীরা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করছেন তা প্রমাণিত হবে?
কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা রায়ের অকপট উত্তর, আইন আইনের মতো চলবে। আমরা তো নিচুতলার কর্মী। কিন্তু, ভাই ভাইয়ের মতো এগিয়ে যাবে। তবে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে শাহজাহানের কোনও যোগাযোগ হয়নি বলে দাবি করছেন তিনি। স্পষ্ট বলছেন, ২০ দিন হল আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ভাই আমাদের ফোন করে না। আমরাও ভাইকে ফোন করি না। কোথায় আছে জানি না। নিজের মতোই আছে।