Recruitment Scam: ক্যামাক স্ট্রিট-সহ ৩ জায়গায় টানা তল্লাশি, রাত ১২টার পর বেরিয়ে গেলেন ED-র তদন্তকারীরা

Aritra Ghosh | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 20, 2023 | 12:26 AM

ED Raid: ক্যামাক স্ট্রিট, এজেসি বোস রোড ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এলাকায় তিনটি অফিসে অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।

Recruitment Scam: ক্যামাক স্ট্রিট-সহ ৩ জায়গায় টানা তল্লাশি, রাত ১২টার পর বেরিয়ে গেলেন ED-র তদন্তকারীরা
শহরের তিন জায়গায় ইডির অভিযান
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: বুধবারই শহরে ফের দেখা গেল ইডির হানা। ক্যামাক স্ট্রিট, এজেসি বোস রোড ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এলাকায় তিনটি অফিসে অভিযান চালালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এই তিনটি জায়গাতেই এক নির্মাণকারী সংস্থার অফিস রয়েছে। সেই অফিসগুলিতেই তল্লাশি চলেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক যোগের সন্ধান পেতে অভিযান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র টাকা এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে খাটানো হত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই আজ দুপুরে শহরে তিন জায়গায় হানা দেয় ইডি। অবশেষে প্রায় ১০ ঘণ্টার বেশি সময় পর শেষ হয় তল্লাশি অভিযান।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বর্তমানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড থেকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। আপাতত তিনি কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে ৯ নম্বর বেডে কালীঘাটের কাকু চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। প্যারোলের মেয়াদ শেষে জেলে ফিরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপরই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে। সূত্রের খবর, কালো টাকা সাদা করতে হাওয়ালা যোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রায় ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডির স্ক্যানারে রয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারদের সন্দেহ, ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে টাকা ঘোরানো হয়েছে।

 

Next Article