Sandeshkhali: শুভেন্দুকে গেঞ্জি খোলার অনুরোধ স্পিকারের
Suvendu Adhikari: এরপর রাজ্য বাজেট নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, "বাজেট দেখলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। কেন দিনের পর দিন এটা চলবে?" জবাবে স্পিকার বলেন,"আপনারা কোনও বিজনেস অ্যাডভাইসারি বা কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকেন না। সেখানে বললে অবশ্যই আমি বিবেচনা করে দেখতাম। কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই।"
কলকাতা: সন্দেশখালির আঁচ পড়ল বিধানসভায়ও। ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ গেঞ্জি পরে বিধানসভা অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। শুধু তাই নয়, অধিবেশনের শুরু থেকেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখান। পাল্টা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গেঞ্জি খোলার অনুরোধ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
আজ বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে সরব হন পদ্মবিধায়করা। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন। তিনি বলেন, “বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর আসার তারিখ থাকে সোমবার। কিন্তু উনি উপস্থিত থাকেন না। ফলে স্বরাষ্ট্র দফতরের কোনও প্রশ্ন উত্তর এখানে হয় না। বিরোধীরা বঞ্চিত হয়। কেন মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দিতে আসেন না ?” স্পিকারের কাছে প্রশ্ন করেন বিরোধী দলনেতা।
এরপর রাজ্য বাজেট নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, “বাজেট দেখলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। কেন দিনের পর দিন এটা চলবে?” জবাবে স্পিকার বলেন,”আপনারা কোনও বিজনেস অ্যাডভাইসারি বা কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকেন না। সেখানে বললে অবশ্যই আমি বিবেচনা করে দেখতাম। কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই।”
এরপরই ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ গেঞ্জি খুলে ফেলার অনুরোধ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, “আপনারা যে গেঞ্জি পরে এসেছেন এটা বিধানসভায় চলে না। আপনারা গেঞ্জি খুলুন।” পাল্টা আবার শুভেন্দু জানান, “আমরা তো কোনও অন্যায় কথা লিখিনি। আমরা বলেছি সন্দেশখালি সঙ্গে আছি।” যদিও, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এটা একটা স্লোগান। স্লোগান লিখে বিধানসভায় আসা যায় না।