SSC Case: ২২ হাজারের মধ্যে একমাত্র সোমা দাসেরই চাকরি থাকল, জানেন কে তিনি?
Soma Das: নলহাটির মেয়ে সোমা দাস। ২০১৯ সাল থেকে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে পথে নামেন তিনি। আর পাঁচজনের মতোই হকের দাবিতে লড়ছিলেন। এরইমধ্যে এক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, তাঁর লড়াই শুধু চাকরির জন্যই নয়, আরও এক লড়াই লড়ে চলেছেন নিরন্তর।

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি মামলায় গোটা প্যানেল বাতিলেরই নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশে প্রায় ২২ হাজার জনের চাকরি বাতিল হতে চলেছে। তবে এই ২২ হাজারের মধ্যে একজনেরই চাকরি থাকছে, তিনি সোমা দাস। মানবিক কারণেই সোমবার তাঁর চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
সোমা দাস আজকের এই রায় শুনে বলেন, “আমি চাকরিটা মানবিক গ্রাউন্ডে পাই ঠিকই। তবে আমি কিন্তু যোগ্য, সাধারণ প্রার্থী হিসাবেই গিয়েছিলাম। আমাদের আন্দোলনের ভিত্তি কিন্তু দুর্নীাতি। আজকের এই রায় প্রমাণ করে দিল কতটা এই প্যানেলে দুর্নীতি হয়েছিল। তবে একইসঙ্গে বলব, প্যানেলে বহু যোগ্যকে যেমন ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছে, তেমনই অনেক যোগ্য চাকরি পেয়েছিলেন, আজ তাদেরও চাকরি চলে গিয়েছে। আমার মনে হয় দ্রুত তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়া দরকার। সসম্মানে যাতে তাঁরা স্কুলে যেতে পারেন।”
নলহাটির মেয়ে সোমা দাস। ২০১৯ সাল থেকে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে পথে নামেন তিনি। আর পাঁচজনের মতোই হকের দাবিতে লড়ছিলেন। এরইমধ্যে এক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, তাঁর লড়াই শুধু চাকরির জন্যই নয়, আরও এক লড়াই লড়ে চলেছেন নিরন্তর।
সোমা দাস জানিয়েছিলেন, তিনি ক্যানসারের রোগী। সে কথা কানে যায় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনিই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করেন। সোমাকে শিক্ষকতার চাকরির বদলে অন্য সরকারি চাকরির প্রস্তাব দেন। তবে সোমা রাজি হননি।
সোমা বলেছিলেন, “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমার প্রতি সমব্যথী হয়ে অন্য কোনও দফতরে একটি চাকরি করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। চাকরিটা নিলে হয়ত সবই হত, কিন্তু আমার শিক্ষক হওয়ার যে স্বপ্ন, তা পূরণ হত না।”
এরপরই হাইকোর্টের তরফে নবান্নে অনুরোধ জানানো হয়। মানবিক দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলে কোর্ট। শিক্ষা দফতর এসএসসিকে জানায়। এরপরই ২০২৩ সালের ১২ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় সোমা দাসের চাকরির বিষয়টিতে সিলমোহর পড়ে। নিয়োগ পান সোমা।
