কলকাতা: ওঁ পড়েন সেই ১৯ হাজারের মধ্যে। যাঁরা কিনা যোগ্যতার সঙ্গে চাকরিটা পেয়েছিলেন। খেটেছিলেন, পড়েছিলেন, মেরিট লিস্টে নাম উঠেছিল যোগ্যতায়। কিন্তু পাঁচ হাজারে ‘বেনো জল’ পরিষ্কার করতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে রাতারাতি কষ্টের প্রাপ্তি সরকারি চাকরি হারিয়েছেন যোগ্যরাও। সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করেছে। তাতে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। তাদের মধ্যে ৫ হাজারের কিছু বেশি অযোগ্য রয়েছেন। যাঁদের নিয়োগে বেনিয়ম রয়েছে বলে সিবিআই দাবি করেছিল। তার প্রামাণ্যও মিলেছে। কিন্তু সেই নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ১৯ হাজার যোগ্যদের। তাঁরাই এখন ধর্মতলায় জমায়েত করেছেন যোগ্যরা।
এরকমই কল্যাণী থেকে এসেছেন এক শিক্ষক। ২০১১ সালে এসএসসি দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চাকরি পেয়েছিলেন বাড়ি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরের স্কুলে। অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন বদলি নেওয়ার। কিন্তু পাননি। তারপর ২০১৬ সালে ফের এসএসসি পরীক্ষা দেন। তাতেও পাশ করে চাকরি পান। তিনি বলেন, “পে ফিক্সেশন হয়েছে, সার্ভিস কনটিনিউয়েশন হয়েছে। মূল্য উদ্দেশ্য ছিল বাড়ির কাছে আসা। এই রায়ে আমাদেরও যুক্ত করা হয়েছে। আমাদের তো ১০ বছর হয়ে গিয়েছে চাকরির।” তিনিও এই রায়ে চাকরি হারিয়েছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। যোগ্য প্রার্থীরাও এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন।