কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি চাকরি অপসারণের মামলায় সামনে এল নয়া তথ্য। ওএমআর বিকৃতি নিয়ে যখন ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে, তখন স্কুল সার্ভিস কমিশনের হলফনামায় উঠে এল নতুন সংস্থার নাম। কাদের দিয়ে নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর? এসএসসি জানিয়েছে এম এস বালাজি সলিউশন (M/S Balaji Solution)-কেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও নিয়োগের পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় পর সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র নষ্ট করে ফেলা হয়। সেই কাজটাই করত এই বালাজি সলিউশন।
বুধবার আদালতে চাকরিহারাদের আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, ওএমআর যদি সত্যিই নষ্ট করা হয়ে থাকে, তাহলে সিবিআই কোথা থেকে বিকৃত ওএমআর পেশ করল? কমিশনের দাবি, ওএমআর নষ্ট করার আগে সব ওএমআর স্ক্যান করে তার প্রতিলিপি বা মিরর ইমেজ করে রাখা হয়। আর সিবিআই-এর দেওয়া ওএমআর-এর স্ক্যান করা কপি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেনি কমিশন।
তদন্তে আগেই জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের সংস্থা নায়সা-কে দিয়ে ওএমআর-এর মূল্যায়ণ করা হয়েছিল। সেই সংস্থার অফিস রয়েছে গাজিয়াবাদে। সেই অফিস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
অভিযোগ, বহু প্রার্থীর ওএমআর-এর নম্বর বদল করা হয়েছিল এসএসসি-র অফিসে। অর্থাৎ কোনও এক অদৃশ্য যাদুবলে আসল নম্বর বদল গিয়েছিল এসএসসি-র সার্ভারে। সিবিআই ও এসএসসি এই ওএমআর কারচুপি সংক্রান্ত রিপোর্ট আগেই দিয়েছিল আদালতে। সেখানে জানানো হয়েছিল, গাজিয়াবাদ থেকে ৩ হাজার ৪৭৮ টি ওএমআর উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে ৩০০ টি ওএমআর বিকৃত করা হয়নি বলে জানানো হয়। বাকি ওএমআর প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মতো ওএমআর প্রকাশও করা হয়।