SSKM: ঘাড় থেকে বাঁশ ঢুকে বেরল পিঠ ফুঁড়ে, ২৩-এর শুভদীপকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরাল SSKM

Sourav Dutta | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 03, 2024 | 9:12 PM

SSKM Hospital: এসএসকেএম সূত্রে খবর, আহত রোগীর নাম শুভদীপ রায়। বয়স তেইশের আশপাশে। তিনি হুগলির সন্তোষপুরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, কোনও এক পথ দুর্ঘটনায় তাঁর ঘাড় থেকে একটি বাঁশ ঢুকে পিঠ ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আহত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ারে।

SSKM: ঘাড় থেকে বাঁশ ঢুকে বেরল পিঠ ফুঁড়ে, ২৩-এর শুভদীপকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরাল SSKM
শুভদীপ রায়
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সফল অস্ত্রোপচার এসএসকেএম-এর। মৃত্যুর মুখ থেকে এক যুবককে ফিরিয়ে আনল হাসপাতাল। তাঁর শরীরে একটি বাঁশ ঢুকে পিঠ ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। জটিল অস্ত্রোপচার করে সেই বাঁশই বের করল এসএসকেএম-এর সিটিভিএস বিভাগ।

এসএসকেএম সূত্রে খবর, আহত রোগীর নাম শুভদীপ রায়। বয়স তেইশের আশপাশে। তিনি হুগলির সন্তোষপুরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, কোনও এক পথ দুর্ঘটনায় তাঁর ঘাড় থেকে একটি বাঁশ ঢুকে পিঠ ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আহত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ারে।

এরপর রাত্রি ১১টায় শুরু হয় অস্ত্রোপচার। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার। ধীরে বাঁশ বের করার কাজ শুরু হয়। চিকিৎসক সুরজিৎ, চিকিৎসক নবারুণ, চিকিৎসক সন্দীপ কুমার কর ও চিকিৎসক সোহিনী মজুমদার ও চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা সহ তাঁদের টিম ধীরে-ধীরে বাঁশটি বের করার কাজ শুরু করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, দ্রুততার অপারেশন করলে ওই যুবকের মৃত্যু ঘটতে পারত। তাই সময় নিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয় সিটিভিএসে। সেই অস্ত্রোপচার সফল হয়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই যুবক প্রাণে বাঁচলেও যুবকের বাঁ হাত পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সন্দীপ কুমার কর বলেন, “দুর্ঘটনায় ওই যুবকের ঘাড় থেকে বাঁশ ঢুকে পিঠ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। এসএসকেএম-এ আনা হলে  ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়। আমরা অনেকটা সময় নিয়েই এই অস্ত্রোপচার করেছি। নয়ত তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল। চিকিৎসকদের সম্বলিত প্রয়াসে এই অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসক সুরজিৎ, চিকিৎসক নবারুণ, চিকিৎসক আকাশ, চিকিৎসক শুভেন্দু শেখর মহাপাত্র, চিকিৎসক সোহিনী মজুমদার, চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা ছিলেন টিমে। সিটিভিএসে অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে ট্রমা কেয়ারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

Next Article