AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টিভি নাইন বাংলার খবরের জের! মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর এসএসকেএমে ভর্তি বৃদ্ধা

SSKM: মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে এসএসকেএমের সামনেই রাতভর পড়ে ছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নূর খাতুন বিবি।

টিভি নাইন বাংলার খবরের জের! মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর এসএসকেএমে ভর্তি বৃদ্ধা
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2021 | 2:41 PM
Share

কলকাতা: টিভি নাইন বাংলার খবরের জের। অবশেষে প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর রোগীকে ভর্তি নিল এসএসকেএম হাসপাতাল। সোমবার সকাল থেকে রেফার রোগে নাজেহাল হন রোগীর আত্মীয়রা। কলকাতা একের পর এক সরকারি হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি করা যায়নি ওই রোগীকে। স্ট্রেচারে রাস্তাতেই কাটাতে হয় সারারাত। সন্ধ্যা ৬টা থেকে এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে পড়ে ছিলেন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে ভর্তি নিল কর্তৃপক্ষ।

মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে এসএসকেএমের সামনেই রাতভর পড়ে ছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নূর খাতুন বিবি। আউটডোরে জায়গা না মেলায় প্রথমে পর্যবক্ষেণে জন্য রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় এমারজেন্সিতে। ডোমকলের সারাংপুরের বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির ওই মহিলার ব্রেন স্ট্রোকের পর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় রবিবার রাতে। প্রথমে ডোমকল হাসপাতাল, পরে বহরমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। ওই হাসপাতাল তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করে। অভিযোগ, এরপর শুরু হয় এনআরএস, এসএসকেএম, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে নাজেহাল হওয়ার পালা।

নূর খাতুনের মেয়ে জানান, “গাড়ি ভাড়া দিতে দিতে আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি। আমরা চার ভাই বোন পাঁচটা ডাক্তার পাঁচটা হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমাদের মায়ের কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। আমরা মায়ের কোনও চিকিৎসা করাতে পারছি না।” সোমবার হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল মঙ্গলবার আউটডোরে রোগী দেখা হবে। তার পর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, এদিন আউটডোরে চিকিৎসক দেখে বলেন ওই বৃদ্ধার অবস্থা ভাল নয়। একই সঙ্গে হাসপাতালের তরফে বলা হয়, বেড নেই, এমার্জেন্সিতেই অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে রোগীর অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছিল। সকাল থেকে দফায় দফায় টিভি নাইন বাংলা সেই দুর্দশার ছবি তুলে ধরে। এর পর শুধুমাত্র এসএসকেএমেই ১৮ ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেখানে বেড পান রোগী। আরও পডুন: বাঁকুড়ায় শিশু পাচারকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য! উঠছে নিষিদ্ধ পল্লি যোগের সম্ভাবনাও