STF: খাবারের প্লেট তৈরি হত বারান্দায়, সেখানে কাজ করতেও আসতেন অনেকে! কিন্তু সেই বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডেই কিনা অন্য জগৎ, পুলিশ আসতেই হতবাক পড়শিরা

Supriyo Guha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 14, 2024 | 11:44 AM

STF: জানা যাচ্ছে, ওই বাড়ির মালিক মহম্মদ মঞ্জির হোসেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা হত বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। কারখানা থেকে ৭টি সেভেন এমএম পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, আগ্নেয়াস্ত্রের প্রচুর যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে।

STF: খাবারের প্লেট তৈরি হত বারান্দায়, সেখানে কাজ করতেও আসতেন অনেকে! কিন্তু সেই বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডেই কিনা অন্য জগৎ, পুলিশ আসতেই হতবাক পড়শিরা
বিহারের মুঙ্গেরে অস্ত্র কারখানার হদিশ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: কলকাতা পুলিশের এসটিএফের অভিযানে অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ মিলল বিহারের মুঙ্গেরে। জানা যাচ্ছে, মুঙ্গেরের তারাপুরে একটি বাড়িতে আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বার বানিয়ে অস্ত্র কারখানা তৈরি করা হয়েছিল। খাবারের প্লেট তৈরির আড়ালে চলত এই কারবার। কলকাতা পুলিশ ও বিহার পুলিশের এসটিএফ যৌথভাবে অভিযান চালায় তারাপুরের ওই বাড়িতে।

জানা যাচ্ছে, ওই বাড়ির মালিক মহম্মদ মঞ্জির হোসেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা হত বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। কারখানা থেকে ৭টি সেভেন এমএম পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, আগ্নেয়াস্ত্রের প্রচুর যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ির মালিক মহম্মদ মঞ্জির হোসেন-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, গোটা বিষয়টি এড়ানোর জন্য প্লেট তৈরি করা হত। সকলে ভাবতেন ওটা আসলে প্লেট তৈরির কারখানা।

তদন্তকারীরা বলছেন, বাংলার বুকে যে ছোট অস্ত্র উদ্ধার হয়, সবই মোটামুটি বিহারের মুঙ্গের থেকে আনা হয়। বাংলায় যারা ধরা পড়েছিল, সেই সূত্র থেকে খবর পান তদন্তকারীরা। গত তিন বছর ধরে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও কলকাতা পুলিশ এই ধরনের অভিযান চালাচ্ছে। গত তিন বছরে এই নিয়ে ১৪ তম অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বেআইনিভাবে অস্ত্র তৈরি বন্ধ করতেই এই অভিযান। তাতেই আমদানি রোখা সম্ভব। শুধু বাংলা নয়, পড়শি দেশ বাংলাদেশেও বিহারে থেকে অস্ত্র যেত।

Next Article