Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে এবার খুনের অভিযোগ, বিস্ফোরক দাবি স্বয়ং ভাগ্নির

Sujay Krishna Bhadra: এমনকী তাঁর আরও দাবি, এ ঘটনার পর ওই বাড়ি যাতে কেউ ভাড়া না নেয়, বা কেউ না কেনে তার জন্য গোটা পাড়ায় পোস্টারও দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে এবার খুনের অভিযোগ, বিস্ফোরক দাবি স্বয়ং ভাগ্নির
কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ভাগ্নি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2023 | 11:36 PM

কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে ইডি (ED) হেফাজতে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই বেহালার নানা প্রান্তে তিনি তাঁর ক্ষমতার আস্ফালন দেখিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। তাঁর আয়ের উৎসও প্রশ্নচিহ্নের সামনে। ২০১৭ সালের ২৬ অগস্ট বেহালার ফকিরপাড়া রোডে খুন হয়েছিলেন এক বৃদ্ধা। সেই বৃদ্ধার মেয়ে নিজেকে কালীঘাটের কাকুর ভাগ্নি বলে পরিচয় দিয়েছেন। ওই মহিলাই কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন। 

তাঁর সন্দেহ, তাঁর মায়ের খুনের পিছনে হাত রয়েছে তাঁর মামারই। তাঁর মাকে যড়যন্ত্র করে খুন করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এমনকী তাঁর আরও অভিযোগ, প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখিয়ে খুনের পর থেকে সেই বাড়ি তিনি তালা বন্ধ করে রেখে দিয়েছেন। কাউকে ঢুকতে দেননি। তাঁর নিজের বাড়ি হাওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেই ঢুকতে পারছেন না বাড়িতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে বলেন, “ফকিরপাড়া রোডের বাড়িতে একতলাতে আমার মা থাকতেন। আমার বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। মা একতলায় একাই থাকতেন। দোতলায় আমি, আমার স্বামী, সন্তানকে নিয়ে থাকতাম। ২০১৭ সালের ২৬ অগস্ট সকালে বেল বাজে বাড়ির। আমরা ভাবি মা নিজে খুলবে। কিন্তু, কেউ দরজা না খোলায় বারাবার বেল বাজতে থাকে। তখন নিজে গিয়ে দেখি মা ওঠেনি তখনও। মাকে ডাকাডাকি করে না পেয়ে এক প্রতিবেশীর সাহায্যে দরজা ভাঙার চেষ্টা করি। দরজা ভেঙে দেখা যায় আমার মা নীচে মেঝেতে পড়ে আছে। মুখ দিয়ে, নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। গলায় দড়ি জড়ানো রয়েছে। আমি ওই জিনিস দেখে ওখানেই অজ্ঞান হয়ে যাই।”

তিনি আরও বলছেন, “সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আমার মা সান্টু বলে ডাকতেন। আমার মা আমাকে বলেছিলেন, সান্টু কিছু করবে। ওর কিছু দরকার আছে। তাই বাড়ির বিষয়ে একটা সই চাইছিলেন। বাড়িটা আমার বাবার নামে রয়েছে। আমি তখন স্পষ্ট জানিয়েছিলাম আমি সই করব না। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কোনোদিনই মধুর ছিল না। ও তো প্রোমোটার। তাই হয়তো বাড়িরটাকে নিয়ে কিছু করতে চাইছিল। আমি যতদূর জানি ফকিরপাড়ার ওই শুরু ওই শেষ। ওর তো অনেক পাওয়ার। এদিকে আমার মায়ের দেহ উদ্ধারের পর আমাকে ও আমার স্বামীকে অভিযুক্ত করা হয়। সন্দেহ করা হয় সম্পত্তির জন্য মাকে খুন করেছি। এদিকে ওই সম্পত্তি অলরেডি আমারই। কিন্তু, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ওই বাড়িটা দরকার ছিল। আজও বোধহয় দরকার আছে।” 

এমনকী তাঁর আরও দাবি, এ ঘটনার পর ওই বাড়ি যাতে কেউ ভাড়া না নেয়, বা কেউ না কেনে তার জন্য গোটা পাড়ায় পোস্টারও দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। পোস্টার পড়েছিল তাঁদের বাড়িতেও। তিনি বলছেন, “গোটা পাড়াতে উনি পোস্টার দিয়ে বলেছিলেন এই বাড়িটা যেন কেউ না কেনে, যেন না ভাড়া দেওয়া হয়। আমার বাড়ির দরজাতেও লাগানো হয়েছিল। পাড়ার লোকও ওনার ভয়ে চলে।” এমনকী ওই মহিলা এ ঘটনা নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন। স্পষ্ট বলছেন, “পুলিশ তো শাসকদলের। আর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কে?” ধরা গলায় এই প্রশ্নই শেষে ছুড়লেন পাঠকদের উদ্দেশে।