কলকাতা ও নয়া দিল্লি : রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার একাধিক বাড়ি থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। তবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তের গতি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। TV9 বাংলার তরফে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি ইডির কাজে খুশি কি না। জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমি তো চাইব, ইডি আরও গতিতে কাজ করুক। পুরোপুরি খুশি নই। আরও গতিতে এই কাজ হওয়া উচিত ছিল। এটি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। এটি তৃণমূলের কাটমানির খাদ্যশৃঙ্খল। এতে অনেক ব্যক্তি জড়িত আছেন। যদি দেরি করা হয়, তাহলে তাঁরা সময় পেয়ে যাবেন।”
তবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের অভিজ্ঞতার উপর ভরসা রাখছেন সুকান্ত বাবু। বলেন, ইডি অফিসারদের নিশ্চয়ই সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তাঁরা সেইভাবেই বিষয়টি সামলাবেন। এমন নয় যে তাঁরা জানেন না কোথায় টাকা পাচার হচ্ছে। আশা করি তাঁদের কাছেও খবর আছে। আমার কাছে তো বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর আসছে, ইডির কাছে নাকি সমস্ত খবর আছে কলকাতার কোন নেতা টাকা কোথায় পাঠচ্ছেন। তাদের (ইডি) কাজের প্রক্রিয়া রয়েছে, সেই অনুযায়ীই কাজ হবে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনা আরও আগে হলে আমি অনেক বেশি খুশি হতাম।”
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মন্ত্রিসভাতেও তিনি যে দফতরগুলির দায়িত্বে ছিলেন, সেগুলি থেকে পার্থ বাবুকে সরানো হয়েছে। তৃণমূলের তরফে বার বার বলা হয়েছে, যদি বিচারে কেউ দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এমন হাতেগরম ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলের উপর চাপ তৈরির কোনও সুযোগ ছাড়ছে না বিরোধী দলগুলি।