Supreme Court: পৃথক টয়লেট, পৃথক ডিউটি রুম, অবিলম্বে ডাক্তারদের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হবে: রাজ্যকে প্রধান বিচারপতি

Supreme Court on doctors: আগামিকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টার মধ্যে চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেবেন। তার আগে রাজ্যকে চিকিৎসকদের সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করতে হবে, সেই নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। 

Supreme Court: পৃথক টয়লেট, পৃথক ডিউটি রুম, অবিলম্বে ডাক্তারদের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হবে: রাজ্যকে প্রধান বিচারপতি
চিকিৎসকদের নিয়ে বার্তা সুপ্রিম কোর্টেরImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2024 | 1:37 PM

কলকাতা: মঙ্গলবার শুনানির শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেছেন, চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, বহু রোগী অসুবিধার মুখে পড়েছেন। আরজি কর মামলায় সওয়াল-জবাবের পর প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আগামিকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টার মধ্যে চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেবেন। তার আগে রাজ্যকে চিকিৎসকদের সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করতে হবে, সেই নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন রাজ্যকে বলেন, “উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে চিকিৎসকরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন যেন না থাকে। ডিস্ট্রিক্ট কালেকটর ও পুলিশ সুপারকে নজর রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করবে।”

প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসকদের জন্য পৃথক ডিউটি রুম রাখতে হবে। আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে চিকিৎসকরা কাজে যোগ, দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এমনটাই বললেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, “যদি তাঁরা কাজে যোগ না দেন, তাহলে ভবিষ্যতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”

জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, মাত্র ২ শতাংশ জুনিয়র ডাক্তার আছেন রাজ্যে। প্রধান বিচারপতি বলেন, “কাজে ফিরতে হবে। অন্যরা কাজ করছে বলে, আপনারা কাজ করবেন না, এটা হতে পারে না। আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।”

একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমরা জানি, কী হচ্ছে না হচ্ছে। একইসঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে, চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলে, তাঁদের বিরুদ্ধে বদলি বা এমন কোনও ব্যবস্থা যেন না নেওয়া হয়।”