কলকাতা: তিলোত্তমার ঘটনার পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এমনকী, এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে প্রশ্নও। নিরাপত্তা পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ কতদূর এগিয়েছে তা শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য সরকার।
হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টে কী জমা দিল রাজ্যে?
মঙ্গলবার সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত হলফনামা জমা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আরও দু’টি হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। একটি, কেন্দ্রীয় রেফার ব্যবস্থা। আর দ্বিতীয়টি হল নিরাপত্তা পরিকাঠামো সংক্রান্ত ব্যবস্থা। অর্থাৎ এই রেফারেল সিস্টেমের কাজের পাশাপাশি নিরাপত্তা হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা পরিকাঠামোর কাজ কতদূর এগিয়েছে সেই সকল তথ্যই জমা দিল রাজ্য।
সূত্রের খবর, হলফনামায় বলা হয়েছে রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা পরিকাঠামো-সহ অন্য কাজে ১২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই ডিউটি রুম তৈরির কাজ হয়েছে ৯৭ শতাংশ। শৌচাগার তৈরির কাজ হয়েছে ৯৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় রেফার ব্যবস্থার কাজ কতদূর?
গত ১৫ অক্টোবর থেকে ডায়মন্ড হারবার-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কেন্দ্রীয় রেফার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সারা রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালুর জন্য ৩০ অক্টোবর সবকটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-এমএসভিপি’র সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।এরপর ৬ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে ৮ জেলায় চালু হয়েছে কেন্দ্রীয় রেফার ব্যবস্থা।রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজে অতিরিক্ত ৯,৫১৪ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। ৯,৫১৪ জনের মধ্যে ৫০৪ জন মহিলা নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন বলে জানিয়েছে রাজ্য।