কলকাতা: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা কোর্স (Diploma Course in Medical) চালু করা যায় কি না, সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য গতকাল পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমন কোর্স চালু করা যায় কি না, সেটি খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবের পরই ১৫ সদস্যের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্যভবন। চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে থাকবেন আইএমএ এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও। গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য তিন বছরের ক্লাসরুম ও প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং প্রোগ্রামের যে চিন্তাভাবনা রাজ্য সরকার করছে, সেই নিয়ে যাবতীয় সবদিক খতিয়ে দেখবে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি।
এই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে থাকছেন চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, চিকিৎসক জি কে ঢালী, চিকিৎসক মাখনলাল সাহা, চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, চিকিৎসক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস, চিকিৎসক মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, চিকিৎসক রেজাউল করিম, চিকিৎসক অভীক ঘোষ, চিকিৎসক সিদ্ধার্থ নিয়োগী (DHS), চিকিৎসক দেবাশিস ভট্টাচার্য (DME), চিকিৎসক অনিরুদ্ধ নিয়োগী (মেডিক্যাল শিক্ষার বিশেষ সচিব) এবং আইএমএ ও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিনিধি। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন। সেই রিপোর্টে উঠে আসা বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন সভাঘরে এক বৈঠকে বলেছিলেন, ‘অনেক হাসপাতাল হচ্ছে, যেখানে ডাক্তার নেই, নার্স নেই। ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কি না দেখো, ইঞ্জিনিয়ারদের মতো। তাহলে অনেক ছেলেমেয়ে ডাক্তারি ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ পাবে।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের যে অভাব রয়েছে জেলাস্তরে ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে, সেই অভাব পূরণ করতে এক সমান্তরাল ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে এই তিন বছরের কোর্স করা ডাক্তারদের ব্যবহার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির রোগী পরিষেবার চাপ অনেকটা সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করছে রাজ্য।