Tathagata Roy: ‘অপসারণ না উত্থান?’, বিতর্ক উস্কে দিলীপকে ‘শুভেচ্ছা’ তথাগতর
Tathagata Roy: দিলীপ বাবুকে কি বাংলার রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হচ্ছে? এমন গুঞ্জন ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে। আর তারই মধ্যে দিলীপ বাবুকে 'শুভেচ্ছা' জানিয়েছেন তথাগত রায়।
কলকাতা : দিলীপ ঘোষ যেভাবে বঙ্গ বিজেপিকে চালনা করেছেন, সেই পদ্ধতিতে যে মোটেই সন্তুষ্ট নন তথাগত রায় – তা নিজেই একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। বুধবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের থেকে দিলীপ বাবুকে আট রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান ও উত্তর-পূর্বের চার রাজ্য মণিপুর, মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা। এই রাজ্যগুলির বুথভিত্তিক সংগঠন বাড়ানোর গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতিকে। কিন্তু সেই তালিকায় নেই বাংলার নাম। তাহলে কি দিলীপ বাবুকে বাংলার রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হচ্ছে? এমন গুঞ্জন ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে। আর তারই মধ্যে দিলীপ বাবুকে ‘শুভেচ্ছা’ জানিয়েছেন তথাগত রায়।
তবে সেই ‘শুভেচ্ছা’ বার্তার মধ্যেই তির্যক খোঁচা রয়ে গিয়েছে। ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির নতুন দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে লিখেছেন, “দিলীপ আর বাংলার নন! রাজ্যের বাইরে বড় দায়িত্বে, অপসারণ না উত্থান, প্রশ্ন বিজেপিতে।” সেই সঙ্গে তিনি এও লিখেছেন, “অবশ্যই উত্থান। শুভেচ্ছা রইল।”
উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপিতে নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে বেজায় চটে রয়েছেন তথাগত রায়। মাঝে মধ্যেই তাঁর কথায়, তাঁর টুইটে ‘কেডিএসএ গ্যাং’-এর কথা শোনা যায়। এই কেডিএসএ গোষ্ঠী বলতে কাদের কাদের বলতে চেয়েছেন তথাগত রায়, তাতেও কোনও রাখঢাক রাখেননি তিনি। সেখানে ডি-এর অর্থ দিলীপ ঘোষ। চলতি সপ্তাহেই এই কেডিএসএ গ্যাং-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলে তথাগত বাবু। অর্জুনের দলবদলের দিন টুইটে কটাক্ষের সুরে তিনি লিখেছিলেন, “মমতার পাঠানো ট্রয়ের ঘোড়াদের কেডিএসএ গ্যাং জামাই আদর করে দলে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁদের টাকা দিয়েছে, টিকিট দিয়েছে, সব দিয়েছে।”
দিলীপ ঘোষকে আট রাজ্যের বুথভিত্তিক সংগঠন শক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া এবং সেই তালিকায় বাংলার নাম না থাকা ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল শিবিরও। কুণাল ঘোষ যেমন বক্রোক্তির সুরে দিলীপ বাবুর উদ্দেশে বলেছেন, “সভাপতি পদ হারালেন, এখন বাংলা থেকেও আপনাকে বের করে দিল। আপনার দলই চায় না আপনি বাংলা নিয়ে বলুন।” এবার তথাগত রায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সেই চর্চা আরও বাড়ল বলেই মত রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের।