কলকাতা: বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) পোস্ট ঘিরে ফের নয়া বিতর্ক। কোনও রাখঢাক না রেখেই তথাগতবাবু লিখেছেন, ‘সবাই জানেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা অতি করুণ। আদর্শের টানে যাঁরা পার্টি করতেন তাঁদের বসিয়ে রেখে সিপিএম ও তৃণমূল থেকে আসা কিছু ভূইঁফোড়কে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেকথা বলছে কে? ২০২১ সালে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল যে KDSA গ্যাং তাদেরই এক গরুর-দুধে-সোনা নেতা!’ বিজেপির (Bengal BJP) দীর্ঘদিনের সৈনিক তথাগত রায়ের এহেন পোস্ট ঘিরে ফের নয়া বিতর্ক রাজ্য রাজনীতিতে। খানিক অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি শিবিরও। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন পোস্ট করলেন তথাগতবাবু? জানতে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে।
তথাগত রায় বলছেন, ‘আমি ১৯৯০ সাল থেকে দল করছি। এখন দলে নেই। কিন্তু যাঁদের আমি দেখেছি, সেই সময় থেকে আদর্শের টানে লড়াই করেছেন, সেই সব লোককে সরিয়ে যাঁদের কোনও অভিজ্ঞতা নেই, যাঁদের বিজেপি সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই, পার্টি কীভাবে চলে তাও জানা নেই… তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই আমি লিখেছি।’ রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থাও যে বেশ করুণ, তাও বলতে কোনও দ্বিধা করছেন তা তিনি। বলছেন, ‘যদি সাংগঠনিক অবস্থা ভাল হত, তাহলে কেন আমি এমন টুইট করতে যাব? সাংগঠনিক অবস্থা ভাল নয়, আমি জানি।’
উল্লেখ্য, গতকাল বঙ্গ বিজেপির এক সাংগঠনিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষও দলীয় সংগঠনের হাল হকিকত নিয়ে একই ধরনের বার্তা দিয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। কিন্তু তথাগত রায়ের বক্তব্য, দিলীপ ঘোষের কথার সঙ্গে তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষাপটের অনেক ফারাক রয়েছে। বলছেন, ‘আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টি একই হলেও, দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা।’
সবাই জানেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা অতি করুণ। আদর্শের টানে যাঁরা পার্টি করতেন তাঁদের বসিয়ে রেখে সিপিএম ও তৃণমূল থেকে আসা কিছু ভূইঁফোড়কে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সেকথা বলছে কে? ২০২১ সালে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল যে KDSA গ্যাং তাদেরই এক গরুর-দুধে-সোনা নেতা !— Tathagata Roy (@tathagata2) May 22, 2023
যদিও তথাগত রায়ের এই বক্তব্যকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ বঙ্গ বিজেপি শিবির। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর সাফ বক্তব্য, ‘তথাগত রায় ওই বৈঠকে ছিলেন না। দিলীপ ঘোষ ওই বৈঠকে বক্তব্য রেখেছেন। আমিও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম না। আমি সেই কথা শুনতে পেলাম না। আমি এমন কোনও কথা শুনতে পেলাম না। এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে, কেউ কোথাও শোনেননি।’