কলকাতা: বিজেপির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হোক শুভেন্দু অধিকারীকে। সামাজিক মাধ্যমে তথাগত রায়ের এই পোস্ট ঘিরে জোর রাজনৈতিক চর্চা। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আইনসভায় তিনিই দলের মুখ, কিন্তু দলের সভাপতি হিসাবে তাঁকেই কেন চাইছেন তথাগত? প্রশ্ন করা হয়েছিল দলের বর্ষীয়ান নেতাকে। TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে তথাগত রায় বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী দলের যোগ্যতম পারফর্মার। সুকান্ত মজুমদার এখন দলের অন্য একটা দায়িত্ব বহন করছেন।”
তবে এই সাক্ষাৎকারের সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়, সুকান্ত মজুমদারকে এখন বিজেপির ‘এক্স’ রাজ্য সভাপতি বলে দাবি করছেন তথাগত। কিন্তু সেটাই বা কেন, তারও ব্যাখ্যা দেন। তাঁর যুক্তি, “সুকান্ত মজুমদার এখন রাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি দিল্লিতে অন্য একটি ভূমিকা পালন করছেন। বিজেপির এটা নীতি নয় যে একজন দুটো পদে থাকবে। এটা অত্যন্ত অস্থায়ী ব্যবস্থা।” তাঁর বক্তব্য, সুকান্ত মজুমদার ‘যোগ্যতম’ হয়েও দিল্লিতে রাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে কলকাতা-রাজ্যের কাজ পুরোপুরি কখনই চালাতে পারবেন না। তাঁর কথায়, “এটা একটা ফুলটাইম কাজ, বলা যেতে পারে, ২৬ ঘণ্টা ৩২ ঘণ্টার কাজ।”
কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীই একমাত্র ‘চয়েস’ কেন? তাঁর মতে, “দলে বাকি যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স হয়ে গিয়েছে। একবার বাজিয়ে দেখা হয়েছে, তাই শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম। এই একটিমাত্র লোক, যে মমতাকে নির্বাচনে সরাসরি হারিয়েছে। এটা চাড্ডিখানি কথা! তিনি পায়ের চোট লাগার অভিনয় করেন। তিনি হেরে গিয়েছেন।”
শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যকে হাতের তালুর মতো চেনেন বলেও তাঁকে চান তথাগত। তাছাড়াও শুভেন্দুকে সভাপতি হিসাবে চাওয়ার আরও একটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তথাগত। তাঁর কথায়, “শুভেন্দু একমাত্র ঠিক লাইনে রয়েছে। মমতা ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট আঁচলে বেঁধে নির্বাচনে নামেন, সেখানে বিজেপির পক্ষে জেতার একমাত্র রাস্তা হচ্ছে হিন্দু ভোটকে আঁকড়ে ধরা। আর সেটা একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী সভাপতি হলেই বিজেপি পারবে।”
এই দাবি তিনি ইতিমধ্যেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে রেখেছেন। বিজেপিতে যোগ্য মুখ অনেকেই রয়েছে, কিন্তু যোগ্যতম মুখ হলেন শুভেন্দু, তেমনটাই দাবি তথাগত। বিজেপি অন্দরে এই নিয়ে কি নয়া কোনও বিতর্কের সূত্রপাত হল না? সে প্রশ্নের উত্তরে তথাগত সরাসরি বললেন, “বিতর্ক নতুন কিছু নয়। যবে থেকে আমি রাজনীতিতে এসেছি, তবে থেকেই বিতর্ক হচ্ছে।” ‘যোগ্যতম’ শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরই ‘সভাপতিত্বের’ সওয়াল করলেন তথাগত।