কলকাতা: পাক পন্থী হুরিয়তকে পুনর্গঠনের চেষ্টায় ছিলেন জাভেদ আহমেদ মুন্সী। ক্যানিং থেকে ওই কাশ্মীরি জঙ্গিকে গ্রেফতার করার পর এই সন্দেহই প্রকট হচ্ছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, বাংলাকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে ওই জঙ্গি পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে যাওয়াটা সহজ হত তাঁর পক্ষে। তাঁকে জেরা করে ও তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র খতিয়ে দেখে আসল উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা চলছে।
জাভেদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি মোবাইল। সূত্রের খবর, মোবাইল থেকে মিলেছে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হওয়া মুসলিম লীগ অব জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর (মাসারত আলম) সংগঠনটি নতুন নামে পুনর্গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছিল। আর তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই জাভেদ। ওই সংগঠনকে সামনে রেখে কাশ্মীরকে স্বাধীন কাশ্মীরের নামে অশান্ত করার পরিকল্পনা ছিল জাভেদের।
গোয়েন্দাদের দাবি, পাকিস্তান থেকে সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা এবং নির্দেশ পাচ্ছিলেন জাভেদ। এর আগেও একাধিকবার কলকাতায় এসেছেন তিনি। এই রাজ্যে কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
গোপন সূত্রে শ্রীনগরের বাসিন্দা জাভেদের বাংলায় আসার খবর পেয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীর থেকে সরাসরি বাংলার ক্যানিংয়ে স্যাটালাইট লোকেশন দ্বারা জাভেদের হদিশ পায় কাশ্মীর পুলিশ। তারপরই যোগাযোগ করা হয় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত ক্যানিং-এ আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জাভেদকে।