কলকাতা: ‘ফাঁসি চাই’ আরজি কর মামলার রায় ঘোষণার পরই এই দাবি যেন আরও জোরাল হয়ে উঠছে। কেন সিভিকের ফাঁসি হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নাগরিক সমাজের একাংশ থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। তবে অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে নিম্ন আদালত যে সাজা শোনানো হয়, কখনও-কখনও উচ্চ-আদালতে সেই শাস্তির পরিবর্তন হয়েছে।
ঠিক যেমন কামদুনি মামলা। কামদুনি কাণ্ড। সেখানে আমিনুর ইসলাম ও ভোলানাথ নস্করকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। তবে কলকাতা হাইকোর্ট উভয়কেই খালাস করে দেয়। অপরদিকে, দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ খুন মামলায় ফাঁসির সাজা শোনানো হয় মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা ও অক্ষয় সিংকে। তারপর এই ঘটনায় নাবালক জড়িত থাকায় তিন বছরের সাজা হিসাবে পাঠানো হয় হোমে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন তিহাড় জেলে আত্মহত্যা অন্যতম অভিযুক্ত রাম সিং।
উল্লেখ্য, সোমবার আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায় ঘোষণা করে শিয়ালদহ আদালত। শনিবার সিভিক ভলান্টিয়রকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় বিএনএস ৬৪,৬৬ ও ১০৩ (১) নম্বর ধারায়। সোমবার আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত।