Mamata Banerjee On Maldah School Hostage Case: ‘কার বুদ্ধিতে করল?’ মালদার স্কুলে বন্দুকবাজের দৌরাত্ম্যে চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Banerjee: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই বুদ্ধিটা যুবক পেল কোথা থেকে? স্কুল হয়তো ভেবেছিল কোনও অভিভাবক হবেন। কিন্তু এত সহজভাবে ভাবলে চলবে না। এটা সাইবার ক্রাইমের যুগ। আরও আরও অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।"

কলকাতা: মালদায় স্কুলের ঘটনার নেপথ্যে চক্রান্তের তত্ত্ব খাঁড়া করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে পরামর্শ দিলেন, স্কুলকে আরও সতর্ক হতে হবে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে স্কুলকেই। মালদায় পিস্তল হাতে স্কুলে এক ব্যক্তির ঢুকে যাওয়ার ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই বুদ্ধিটা যুবক পেল কোথা থেকে? শিক্ষক-পড়ুয়ারা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। পুলিশ, সংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ। এত বড় ঘটনা থেকে রক্ষা করেছে। থ্যাঙ্ক গড্ বাচ্চারা ভাল রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা, বাচ্চা, পুলিশ, সাংবাদিকরা সবাই সুস্থ রয়েছে।” কিন্তু স্কুলে কীভাবে সেই যুবক পিস্তল হাতে ঢুকে পড়তে পারলেন, সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “স্কুলে তো সবাই ঢোকে। অভিভাবকরা ঢোকেন। আমি স্কুল কমিটিগুলোকে বলব, স্কুল যখন চালু হয়ে যাবে, নজর রাখবেন। দরকার হলে দুটো দারোয়ান রাখা যেতেই পারে। পুলিশের কাছেই সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। আর এখন তো আইডি কার্ড থাকে। তা ছাড়া তো কেউ স্কুলে ঢুকতেই পারে না, তাহলে কীভাবে হল? মালদার স্কুলের ঘটনা চক্রান্ত। এই সব পরিকল্পনা চলবে।”
পড়ুয়াদের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করতে হবে বলে স্কুলগুলোকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “স্কুল হয়তো ভেবেছিল কোনও অভিভাবক হবেন। কিন্তু এত সহজভাবে ভাবলে চলবে না। এটা সাইবার ক্রাইমের যুগ। আরও আরও অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে মালদার কালিয়াচকের চন্দ্রমোহন স্কুলে পিস্তল, বোমা হাতে ঢুকে পড়েন এক যুবক। সপ্তম শ্রেণির একটি সেকশনে ঢুকে পড়েন। তখন ক্লাস চলছিল। পড়ুয়াদের পণবন্দি করার চেষ্টা করেন তিনি। গোটা ঘটনা মোবাইল বন্দি করেন স্কুলেরই এক কর্মী। যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবক পিস্তল উঁচিয়ে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। দেড় বছর ধরে প্রশাসনের একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্তা, এমনকি নবান্নের দরজা ঘুরেও ছেলে-স্ত্রীকে খুঁজে পাননি তিনি। তাই তাঁর এই পন্থা। আপাতত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পড়ুয়া-শিক্ষক সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তবে গ্রেফতারি পর উন্মত্ত অভিভাবকদের গণপিটুনির শিকার হন ওই যুবক। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে।
