কলকাতা: ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফোরামের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে গোটা শহর। তিলোত্তমার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এমনকী, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে থ্রেট কালচারেরও অভিযোগ তুলেছেন। এরপর যাঁদের বিরুদ্ধে এই থ্রেট কালচারের অভিযোগ তাঁরাই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ নামে সংগঠন গড়ে তুলেছেন। এমনকী কর্মসূচির দুই জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী ও প্রণয় মাইতির উদ্যোগে গঠিত এই সংগঠন কর্মসূচিরও ঘোষণা করেছেন। এবার সেই শ্রীশের সঙ্গে একই ছবিতে দেখা গেল অভীক দে-কে। আর তারপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, তিলোত্তমার দেহ যেদিন উদ্ধার হয়েছিল লাল জামা পরা এই অভীক সেখানে ক্রাইম সিনে উপস্থিত ছিলেন। সেকথা নিজেও অস্বীকার করেননি তিনি। বলেছিলেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের দলের সঙ্গে আরজি কর গিয়েছিলাম’। শুধু তাই নয়, থ্রেট কালচারেও অভীক দে-র নাম জড়ায়। ফলত তাঁর সঙ্গে এই ছবি জল আরও ঘোলা করেছে।
বস্তুত, আরজি করের আটজন চিকিৎসককে সাসপেনশন ও বহিষ্কারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর কাজে যোগ দিতে আসেন সাসপেন্ডেড পড়ুয়ারা। তাঁদের বিরুদ্ধে উঠছিল থ্রেট কালচারে যুক্ত থাকার অভিযোগ। তবে কাজে যোগ দিতে যাওয়ার পরই ওঠে গো-ব্যাক স্লোগান। এরপর শনিবার পাল্টা সংগঠন তৈরি করে তাঁরা দাবি করেন যে, কয়েকজন ডাক্তার এই সবের মধ্যে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছেন। এই আবহের মধ্যেই ছবি ঘিরে বেড়েছে বিতর্ক।
তবে শ্রীশ বলেছেন, “প্রিন্সিপালের সঙ্গে স্টুডেন্টের ছবি থাকতেই পারে। সেই কারণে যদি তুলকালাম করতেই হয়, তাহলে আমাদের আর একটা কথাও মনে রাখা দরকার যে বর্তমান আন্দোলন এর অন্যতম মুখ চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া। তিনি ছিলেন তৎকালীন সিএনএমসি কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের জেনেরাল সেক্রেটারি। সেই সময়েই সিএনএমসি-র এমএসভিপি ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তিনি যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিলেন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে। সেটা সিএনএমসি র কোনও স্টুডেন্ট আজ অস্বীকার করতে পারবে না। এই নাইয়া আজ সন্দীপ ঘোষের এত ঘনিষ্ঠ হয়েও আজ আন্দোলনের মুখ। পরে যদিও সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে নিজের সব ছবি তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিলিট করে দেন।”