কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই মুখভার ছিল বাংলার। অনেক জায়গাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও দেখা যায়। সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয় উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বইছিল ঝোড়ো। যদিও শনিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। হাওয়া অফিসের কর্তারা বলছেন আগের থেকে অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। এপার বাংলার থেকে মুখ ঘুরিয়ে সে এখন প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের উপকূলভাগে। মৌসম ভবন বলছে, শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশ ও মিজোরামের উপরে ঘুরপাক খেতে খেতেই অনেকটাই দুর্বল হয়ে যাবে নিম্নচাপটি। এমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। পূর্বাভাস বলছে, আগামী এক সপ্তাহ বাংলায় আর কোনও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি দেখা যাবে না। আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্কই থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে খুব বেশি যে পারাপতন হবে এমনটা নয়। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই উত্তরেও।
আবহাওয়া দফতরের কর্তা উমাকান্ত সাহা জানাচ্ছেন, আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্ক থাকলেও ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে কিছুটা হলেও বদলাবে পরিস্থিতি। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির বিশেষ সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।