TMC: ‘বাপের কত দম রয়েছে, আমি দেখে নেব…’, একুশের সভায় না যাওয়ায় মহিলা কর্মীর সঙ্গে অফিসের মধ্যেই যা করলেন কাউন্সিলর
TMC: ঘটনার একটা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। মোবাইলে গোটা ঘটনা বন্দি করেছেন কেউ একজন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কাউন্সিলরের সঙ্গে ওই মহিলা কর্মীর বাগবিতণ্ডা হচ্ছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কাউন্সিলর বলছেন, "যা ইচ্ছা করে নিন। যারা দিদির প্রোগ্রামে যেতে পারে না, তাদের এই ওয়ার্ডে কাজ হবে না। আপনারা পলিটিক্যাল বাবাদের যা করার আছে করে নিক।"
কলকাতা: তৃণমূল সুপ্রিমো কড়া বার্তা দিয়েছিলেন, মহিলা কর্মীদের অসম্মান করা যাবে না। কিন্তু তারপরও মহিলা কর্মীদের অসম্মান করার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দমদম পৌরসভার তৃণমূলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। একুশের সভায় না যাওয়ায় এক মহিলা পুর স্বাস্থ্য কর্মীকে বরখাস্ত করার অভিযোগ ওঠে রাজু সেন শর্মা নামে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। নিগৃহীতার অভিযোগ, শুধু বরখাস্তই নয়, তাঁর বাবা তুলে খারাপ কথা বলা হয়েছে।
ঘটনার একটা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। মোবাইলে গোটা ঘটনা বন্দি করেছেন কেউ একজন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কাউন্সিলরের সঙ্গে ওই মহিলা কর্মীর বাগবিতণ্ডা হচ্ছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কাউন্সিলর বলছেন, “যা ইচ্ছা করে নিন। যারা দিদির প্রোগ্রামে যেতে পারে না, তাদের এই ওয়ার্ডে কাজ হবে না। আপনারা পলিটিক্যাল বাবাদের যা করার আছে করে নিক।” তখনই ওই মহিলা আঙুল উঁচিয়ে চিৎকার করতে থাকেন, “একদম আমার বাবা তুলে কথা বলবেন না।” কাউন্সিলর বলেন, “আপনাকে ছাড়লে, বাকিদেরও ছাড়তে হবে।” মহিলা বলেন, “আমরাও মানুষ, আমরাও খেটে খাই। আপনি আমাদের বাবা তুললেন কেন?” কাউন্সিলর বলেন, “এটা আমার লাস্ট ওয়ার্নিং। যে যা বলার আমাকে বলবে, তার বাপের কত দম রয়েছে, আমি দেখে নেব। ”
যাঁরা এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছেন, তাঁদের দাবি, ওই মহিলারা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। ঘটনাটি ২২ জুলাইয়ের। কাউন্সিলর রাজুর কার্যালয়ে এই মহিলাদের ডাকা হয়েছিল। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। নিগৃহীত মহিলার বক্তব্য, “আমাকে একাই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি বেশি প্রটেস্ট করেছিলাম, কারণ আমার গায়ে লেগে গিয়েছিল কথাটা।”
যদিও কাউন্সিলর রাজু সেন শর্মার বক্তব্য, “ভিডিয়ো বললে ভুল হবে, ওটা একটা অডিয়ো ক্লিপিংস ছিল। ওই ভয়েসটা আমার ভয়েস নয়। আমার অফিসে কিছুই হয়নি। আপনি তো আমার সঙ্গে কথা বলছেন, সেটা শুনেই বুঝতে পারছেন। এটা আমার অফিসেরই নয়। বিজেপির কিংবা বিরোধীদের আমার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা। দলকে জানিয়েছি। আমি সাইবার ক্রাইমকে জানিয়েছি। তদন্ত করলে আসলটা বেরিয়ে আসবে। ”
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের নেতারা মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটনা ঘটাচ্ছে, তা তো সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। ওঁ বলছেন, আমার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, ওঁকে একবার দেখার ইচ্ছা আছে। একুশের জুলাইয়ের সভায় গিয়েছেন, এরকম আশি ভাগ মানুষই চাপের মুখে পড়ে গিয়েছেন।”