AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘কারা গেলেন আদালতে?…’, চাকরিহারাদের ভাতায় বাঁধ পড়তেই ফুঁসে উঠলেন কুণাল

SSC Sacked Teacher: নির্বাচিত সরকারকে 'কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না' বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল শিবির। এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'মানবিক মুখ্যমন্ত্রী, যারা চাকরিহারা তাদের সংসার চালাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘোষণার বিরুদ্ধে কারা আদালতে গেলেন?

Calcutta High Court: 'কারা গেলেন আদালতে?...', চাকরিহারাদের ভাতায় বাঁধ পড়তেই ফুঁসে উঠলেন কুণাল
কী বললেন কুণাল ঘোষ?
| Updated on: Jun 20, 2025 | 1:39 PM
Share

কলকাতা: ‘বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে রাখ। কারাই বা আদালতে গেলেন?’, শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পরেই পারদ চড়ালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। পারদ চড়ল  রাজ্য রাজনীতিরও। সম্মুখ সমরে নামল শাসক-বিরোধী। রাজ্য সরকারের ‘মানবিক কাজে’ কারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, সেই নিয়েও সরব হল তৃণমূল শিবির।

চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে উঠেছিল মামলা। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ছিল রায়দান। প্রায় প্রতিবারের মতোই নজরকাড়া রায় দিয়েছেন বিচারপতি। যার জেরে শুক্রে কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা খেতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে।

কী রায় দিয়েছেন তিনি?

বিচারপতির নির্দেশ,  আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ আদালত যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের কোনও রকম ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, গত মে মাসে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাতার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের চাকরি বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই ভিত্তিতেই তাদের সংসার চালানোর জন্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছিল গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। অবশ্য টাকার অঙ্ক নিয়েও একটা মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। তবে এবার সেই ভাতাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতদেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা আদালত।

তারপর থেকেই চড়েছে সুর। নির্বাচিত সরকারকে ‘কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না’ বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল শিবির। এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রী, যারা চাকরিহারা তাদের সংসার চালাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘোষণার বিরুদ্ধে কারা আদালতে গেলেন? এদের চিনে রাখুন। আদালত নিয়ে তো কিছু বলতে পারব না। বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে রাখ। কে পাশে থাকে আর কারা চাকরি খাব, ভাতা পেতে দেব না, লোকের চোখের জল ফেলে বিরোধী রাজনীতি করব। এদের চিনে রাখুন।’

একই সুরে তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। তিনি বলেন, ‘একটা নির্বাচিত সরকার যাতে কোনও ভাবে কাজ না করতে পারে এখন সেই উদ্দেশ্য সাধনেই ময়দানে নেমেছে বিচার ব্যবস্থা। আমরা এর আগেও দেখেছি, হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চ, রাজ্য সব কাজকে আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও সরকারের বিরুদ্ধে যে সব রায় দিয়েছিলেন, তা কোন উদ্দেশ্য সাধনে করেছিলেন সেটা এখন পরিষ্কার।’  অন্য দিকে, বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, ‘আদালতের এই রায় রাজ্য সরকারের গালে আরও একটি চপেটাঘাত বলেই আমি মনে করি। তবে এখানে চাকরিহারাদের প্রতি সহানুভূতিরও জায়গা রয়েছে।’