কলকাতা: অডিয়ো ক্লিপ-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত। চিকিৎসকদের উপর হামলার চক্রান্ত নিয়ে একটি অডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অডিয়োটি প্রকাশ্যে আনেন। এরপরই কলতান ও সঞ্জীব দাস নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। আর কলতান গ্রেফতার হতেই আসরে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য এক ধাপ এগিয়ে অভিযোগ করলেন, তাঁর সন্দেহ ১৪ তারিখ আরজি কর হাসপাতালে হামলার পিছনে মদত রয়েছে সিপিএম ও ডিওয়াইএফআই-এর। এর সপক্ষে আবার কারণও তুলে ধরলেন তিনি।
দেবাংশু বলেন, “সিপিএম-এর যে নোংরা চক্রান্ত দেখার পর আমি নিশ্চিত ১৪ তারিখ আরজি করে যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল সেই ঘটনাতেও ডিওয়াইএফআই-এৎ পতাকা দেখা গিয়েছিল তা শুধু উদাহরণ নয়। ওই ঘটনার পিছনে ডিওয়াইএফআই নেতা ও সিপিএম নেতাদের প্ল্যানিং ছিল। এক্ষেত্রে অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ হয়েছে তাই মানুষ বুঝতে পারছে। আর ওই ঘটনায় অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ হয়নি তাই জানা যায়নি। আমি পুলিশকে বলব ওইদিনের ঘটনায় যারা যারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের দ্রুত পুলিশ রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আনুক।”
এখানেই থেমে থাকেননি দেবাংশু। তাঁর দাবি, এই অডিয়ো ক্লিপের পিছনে মূল মাথা কার তাঁকে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি নাম তুলেছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও মহম্মদ সেলিমেরও। দেবাংশু বলেন, “এই রাজনৈতিক দল তৃণমূলের উপর দায় চাপাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের মাথা ফাটাতেও পিছু পা হয় না। তবে এখানে শুধু কলতান নয়। এই কথোপকথনের মধ্যে বলা হয়েছে সাহেবের অর্ডার। তা এই সাহেবটা কে? এটা পুলিশকে আমি তদন্ত করতে অনুরোধ করব। সাহেবটা কি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়? কারণ মীনাক্ষীকে এরা ক্যাপ্টেন বলে ডাকেন। আর মীনাক্ষী হলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী। কলতানও ডিওয়াইএফআই করেন। নাকি এই সাহেব মহম্মদ সেলিম। যিনি সিপিএম-এৎ রাজ্য সম্পাদক। তাই পুলিশকে বলব, নেংটি ইঁদুর ছেড়ে মাথা ধরুন।”