কলকাতা: এক মন্ত্রী রয়েছেন ইডি হেফাজতে। প্রাক্তন মন্ত্রী রয়েছেন জেল হেফাজতে। গরাদের ওপারে রয়েছেন দুই বিধায়ক। এছাড়াও সাংসদ-বিধায়ক থেকে কাউন্সিলর, ঘাসফুল শিবিরের একাধিক নেতা রয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আতস কাচের নীচে। লোকসভা নির্বাচনে আগে যখন বিজেপি তথা বিরোধীরা বোঝাতে ব্যস্ত যে রাজ্য সরকারের প্রায় সব দফতরেই হয়েছে দুর্নীতি, তখন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও মেনে নিলেন ‘অন্যায় হয়েছে, ভুল হয়েছে।’ তবে সেই ভুলের পরিমাণ দলের ভাল কাজের কাছে যে খুবই সামান্য, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন কুণাল। মঙ্গলবার বেহালায় এক বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেন তিনি।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কেন বিজেপিকে ভোট না দিয়ে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া উচিত, মঞ্চ থেকে সেটাই বোঝাচ্ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিজেপির অন্যায়গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। বক্তব্যের মাঝেই শোনা যায় দলের সেই ঠিক-ভুলের হিসেব। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন ইডি হেফাজতে, তখন অন্যায়ের কথা একেবারে উড়িয়ে দিলেন না কুণাল ঘোষ।
কুণাল বলেন, “যদি বলেন কোথাও কোনও ভুল হচ্ছে কি না… হ্যাঁ হচ্ছে। যদি বলেন কোনও অন্যায় হচ্ছে কি না… হ্যাঁ হচ্ছে। এত বড় দল, এত বড় সরকার, এত বড় একটা সিস্টেম। ৯৯.৫ শতাংশ ঠিক হচ্ছে, ভাল কাজ হচ্ছে, রয়েছেন ভাল কর্মী, ভাল নেতারা। ০.৫ শতাংশ অন্যায় কাজ হয়েছে, ভুল হয়েছে। দল শুদ্ধিকরণ করছে। যদি কোনও ভুল থাকে, ত্রুটি থাকে অন্যায় থাকে, দল সেটা সংশোধন করছে।”
কীভাবে হবে শুদ্ধিকরণ, তা অবশ্য খোলসা করেননি কুণাল ঘোষ। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার পর তাঁর শিক্ষামন্ত্রীর পদ চলে যায়। দল থেকেও তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তবে বনমন্ত্রীর ক্ষেত্রে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি এখনও। ভবিষ্যতে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, সেদিকে তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।