Digha: ‘কারা বলছে দিঘায় মুসলমানদের বেরনো বারণ?’
Digha: দিঘায় ‘আমিষ নিষিদ্ধ’ নিয়েও বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। গণশক্তি লিখছে, ‘অঘোষিত কার্ফু দিঘায়। হোটেলের বাইরে বের হতে পারবেন না কেউ। খাওয়া যাবে না মাছ-মাংস-ডিম।’ বিতর্কের মধ্যেই বামেদের তুলোধনা কুণালের।

কলকাতা: ‘কারা বলছে দিঘায় মুসলমানদের বেরনো বারণ?’ ফেসবুকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কড়া সমালোচনা করলেন সিপিএমের। কুণালের সাফ কথা, ‘সিপিএম এখন হতাশার বিষ ছড়াতে মরিয়া।’ প্রসঙ্গত, এদিনই সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে ‘মন্দির উদ্বোধন, দু’দিন আমিষ বন্ধ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সঙ্গে লেখা ‘মুসলিমদের রাস্তায় বেরোনো নিষেধ’। আর তা নিয়ে যত বিতর্ক। এনিয়ে ফেসবুক পোস্টে বামেদের একহাত নিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, পুরোটাই সিপিএমের কুৎসা।
অন্যদিকে গণশক্তির এই প্রতিবেদনে দিঘার অবস্থা বর্ণনা করে লেখা হচ্ছে, ‘হোটেলের বাইরে, সমুদ্র তট পর্যটক শূন্য ছিল। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের পর স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বাইরে বের হওয়া নিষেধ ছিল।’ গণশক্তির দাবি নস্যাৎ করে ফেসবুকে কুণাল লিখছেন, ‘হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান-সহ দিঘা পর্যটনে, রাস্তায়, সাগরতটে সবাই রয়েছেন। খেজুরির যুবনেতা জালালের সঙ্গে আমিই তো রাতে রাস্তায় আড্ডা মারলাম, চা খেলাম। আরও পরিচিত মুসলমান রয়েছেন। কারা বলছে দিঘায় মুসলমানদের বেরনো বারণ? সিপিএম এখন হতাশার বিষ ছড়াতে মরিয়া।’
অন্যদিকে দিঘায় ‘আমিষ নিষিদ্ধ’ নিয়েও বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। গণশক্তি লিখছে, ‘অঘোষিত কার্ফু দিঘায়। হোটেলের বাইরে বের হতে পারবেন না কেউ। খাওয়া যাবে না মাছ-মাংস-ডিম।’ একইসঙ্গে ওই প্রতিবেদনেই দাবি করা হচ্ছে, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎসমন্ত্রী ‘নিরামিষ’ খাওয়ার নির্দেশিকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। যদিও কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি বলছেন, “এরকম কোনও নির্দেশিকা কাউকে দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকার এরকম কোনও নির্দেশিকা দেয়নি।” বামেদের তুলোধনা করে এদিন মাছ খেতে খেতে ছবিও পোস্ট করেন কুণাল। লেখেন, ‘কোনও কোনও সমিতি ও সংস্থা আবেদন করেছেন জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন বলে নিরামিষ খান। এটা স্বাভাবিক। অনেকেই নিরামিষ খাচ্ছেন। কিন্তু, যাঁরা আমিষ খেতে চাইছেন, তাঁদের জন্য কোনো বাধা নেই। কেউ কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না।’
