Akhil Giri: ‘হুটহাট কোনও মন্তব্য নয়’, অখিল-বিতর্কের পর বিধায়কদের সাবধান করল শাসক দল
Akhil Giri: সদ্য রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে দলতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: অখিল বিতর্কের পরই নড়েচড়ে বসল দল। প্রকাশ্য মঞ্চে যাতে কেউ ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ না করেন, সে ব্যাপারে কড়া বার্তা দেওয়া হল দলের বিধায়কদের। মঙ্গলবার বিধানসভায় ছিল তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠক। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে সেই বৈঠকে বিধায়কদের মুখ খোলার ক্ষেত্রে সাবধান করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সদ্য রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে দলতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। কারা দফতরের মন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই নেতা-মন্ত্রীদের মুখে উত্তপ্ত বাক্যবাণ শোনা যাচ্ছে। সেই কারণেই এদিন বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও শাসক দলের কেউ এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।
সূত্রের খবর, দলীয় বিধায়কদের বলা হয়েছে, হুটহাট করে কথা বলা যাবে না। বিশেষ করে প্রকাশ্যে, মঞ্চে বা সংবাদমাধ্যমে কথা বলার আগে সংযত হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে, ব্যক্তিগত কথা যাতে কেউ প্রকাশ্যে না বলেন, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিধানসভার অধিবেশনে থাকতেই হবে। সরকারের বিরুদ্ধে বলা যাবে না বা বিড়ম্বনায় ফেলা যাবে না।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে অখিল গিরি, মদন মিত্র ও খোকন দাসের নাম নিয়ে সতর্ক করেছেন সুব্রত বক্সি। জন প্রতিনিধিরা যাতে যে কোনও কাজ করার আগে ভাবেন, সে কথাই বলা হয়েছে বিধায়কদের।
এছাড়া, বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে, বিধায়করা বিধানসভায় আসেন না, এলেও সই করে চলে যান। এটা যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ওই সময় এলাকায় কোনও অনুষ্ঠান থাকলে, তা থেকে থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দলের নীতি নিয়েই এই বৈঠক হয়েছে।
অখিল বিতর্কের রেশ কাটেনি এখনও। সোমবারও ওই ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বিধানসভা। এরই মধ্যে সোমবার শাসক দলের বিধায়ক ইদ্রিস আলি জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিধানসভায় বিরোধীদের আচরণ নিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে ইদ্রিস বলেছেন, ‘ক্ষমতা থাকলে ওদের জিভ টেনে ছিঁড়ে নিতাম।’ বিরোধীদের স্ট্রেচারে করে বাড়ি পাঠানোর কথা বলেছেন উত্তর ২৪ পরগনার আর এক তৃণমূল নেতা সজল দাস। এরপরই মঙ্গলবার কার্যত সাবধান করা হল বিধায়কদের। শাসক দলের নেতারা বেফাঁস কথা বললে বিরোধীরা তা সহজেই হাতিয়ার করতে পারবেন, একথা ভেবেই বার্তা দেওয়া হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।