কলকাতা : সাগরদিঘির ক্ষত তৃণমূলের জন্য কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা নিয়ে চর্চা হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তারই মধ্যে পঞ্চায়েতের ভোট প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। সেই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আবহেই কালীঘাটে মেগা বৈঠক। তৃণমূলের (TMC) শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee)। তৃণমূলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়েই এই আলোচনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বৈঠকের সব আপডেট একনজরে:
- সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে দুর্নীতি- একাধিক ইস্যুতেই এদিন কথা বলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে দলের নেতাদের বিশেষ বার্তা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
- কালীঘাটে একে একে প্রবেশ করছেন দলের নেতা-নেত্রীরা। বৈঠকের বার্তার দিকে তাকিয়ে আছেন অনেকেই।
- উত্তরবঙ্গ নিয়ে নতুন রণকৌশল তৈরি করে দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বীরভূমের দায়িত্ব থেকে কি সরানো হবে অনুব্রতকে? রয়েছে সেই জল্পনাও।
- দুপুর আড়াইটা নাগাদ প্রবেশ করলেন কালীঘাটের নবনির্মিত অফিসে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা-অভিষেকের উপস্থিতিতে শুরু হল বৈঠক।
- বৈঠকের শুরুতেই সংসদ বিষয়ে মমতা খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি। আরও জানা যাচ্ছে, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কতটা কার্যকর হয়েছে, সেটাও বুঝে নিচ্ছেন মমতা।
- সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বৈঠকে যুব সংগঠনগুলিকে রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
- বৈঠক শেষে একে একে বেরিয়ে এসেছেন নেতা-নেত্রীরা। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন মমতাই।
- সাগরদিঘির পরাজয় ছিল এদিন আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মোশারফ হোসেনকে করা হল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। এই পদে আগে ছিলেন হাজী নুরুল।
- অরূপ বিশ্বাসকে দেওয়া হয়েছে নদিয়া জেলার সংগঠনের দায়িত্ব, আর মলয় ঘটক পাচ্ছেন বাঁকুড়ার দায়িত্ব।
- সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে বিপর্যস্ত করতে একজোট হয়েছে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। দেশের একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গে পরপর বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
- অন্তত মাসে তিন দিন করে জেলাভিত্তিক বৈঠক করবেন মমতা। সংগঠনের শক্তি বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত, জানিয়েছেন সুদীপ। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার বিস্তারিত আলোচনা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
- আমরা এখনও তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের কথা বলছি না। কিন্তু যে সব দল নিজ নিজ রাজ্য যথেষ্ট শক্তিশালী, তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন দলনেত্রী: সুদীপ।
- বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ থাকছে না। আমরা নিজেদের মতো করে চলব। লোকসভা নির্বাচনেও তার প্রতিফলন দেখা যাবে: সুদীপ।
- কংগ্রেস বিরোধীদের বিগ বস, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল বিভিন্ন সময় ধর্নায় বসেছে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে: সুদীপ।
- বিজেপি চায় রাহুল গান্ধীই বিরোধী মুখ হয়ে উঠুন, তাহলে বিজেপির ভোটে লড়তে সুবিধা হবে: সুদীপ।
- দল দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করবে না। প্রথম থেকে সব নেতারা এ কথা বারবার বলেছেন। কোন ক্ষেত্রে শাস্তি কী হবে, সেটা দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়। যখন যেটা প্রয়োজন মনে হবে, তখন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব: সুদীপ।
- যে রাজ্যে কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে কংগ্রেস একা লড়ুক। এখনই নেতা নির্ধারন নয়: সুদীপ।
- আমাদের দলের মনোবলে কোনও ঘাটতি হয়নি। আজও আমাদের কর্মীরা উৎসাহ নিয়ে এখানে এসেছেন। এর থেকে প্রমাণ হয় তৃণমূল একলা চলতে পারে: চন্দ্রিমা।
- এত বড় দলে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কোনও মতামত দিলে জবাব দেওয়ার কোনও দরকার নেই। আব্দুল করিমের মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন সুদীপ।
- আদালতের বিচারপতিরা প্রশ্ন তুলছেন ইডি-সিবিআই-এর তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে। মানুষের মনেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে: সুদীপ।
- দলের পর্যবেক্ষক করা হয়নি কাউকে। তবে কোনও কোনও জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে নেতাদের। তাঁদের দেখতে বলা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
- সূত্রের খবর, বাম আমলে নিয়োগ সংক্রান্ত যে দুর্নীতি হয়েছে, তার পোস্ট মর্টেম করা হবে বলে বৈঠকে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।