কলকাতা: “শুভেন্দু যদি না ঢুকে থাকেন তবে কি সলিসিটর জেনারেলের বাড়িতে বেড়াল ঢুকেছিল?” হাইকোর্টে নারদ মামলা চলাকালীন সিবিআই-এর আইনজীবী বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর আচমকা যাওয়া এবং তারপর বৈঠকে কথা অস্বীকার করার বিষয়টিকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার দিল্লির ১০ আকবর রোডে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রাথমিক সূত্র মারফৎ জানা যায়, মিনিট ১৫ ‘বৈঠক’ করেছিলেন তিনি। একই দাবি তুলে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে নামে তৃণমূল। নারদ মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় থাকা এক ব্যক্তি কীভাবে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন? এই প্রশ্ন তুলে সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেয় তৃণমূল।
কিন্তু তারপরই সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি জানান, শুভেন্দু ‘না জানিয়ে’ তাঁর বাড়িতে এলেও দু’জনের বৈঠক হয়নি। শুভেন্দুও জানান, তাঁর সঙ্গে তুষার মেহতার দেখা হয়নি। এর পর পালটা চাপ বাড়ানো শুরু করে শাসকদল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক টুইটে দাবি করেন, যদি সত্যিই শুভেন্দুর সঙ্গে সলিসিটর জেনারেলের সাক্ষাৎ না হয়ে থাকে, তবে নিজের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করুন তুষার মেহতা।
আরও পড়ুন: মুকুলকে ‘নির্লজ্জ’ তোপ, ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’ দেওয়ার হুমকি দিলীপের
এই প্রসঙ্গ টেনেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, তুষার মেহতার কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল। সরকারি বাসভবনে থাকেন। তাঁকে না জানিয়ে কি এভাবে তাঁর বাড়ি পৌঁছে যাওয়া সম্ভব? তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রীর কটাক্ষ, “শুভেন্দু অধিকারী তুষার মেহতার বাড়ি ঢোকেননি, তাহলে কে ঢুকল, বেড়াল? নিজেকে তো বাঘ ভাবেন (শুভেন্দু)।”
এর পাশাপাশি বিধানসভার উদ্বোধনী ভাষণের কথা উঠলে পার্থবাবু জানান, “রাজ্যপাল তাঁর ভাষণ দিয়েছেন, বেরিয়ে যাননি। অধ্যক্ষ মহোদয় নিজে থেকেই সবটা জানিয়েছেন। রাজ্যপালের ভাষণ যথার্থ ভাবেই পরিবেশিত হয়েছে। তিনি প্রথা অনুযায়ী এসেছেন, ফিরে গিয়েছেন।” বিজেপি নাম না করে তাঁর খোঁচা, “যারা প্রতিবাদ করেছেন তাঁদের বিধানসভার জ্ঞান কম। যারা বীরত্ব দেখাচ্ছেন, বিধানসভা সম্পর্কে তাঁদের ধ্যানধারণা সীমিত।”