কলকাতা: নয়াদিল্লিতে শরদ পওয়ারের বাসভবনে বুধবার দুপুরে ছিল ইন্ডিয়া জোটের কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু আজই অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এর জেরে দিল্লির বৈঠকে যোগ দেওয়া হয়নি অভিষেকের। ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলকে রুখতে বিজেপি বেশি তৎপর। তাঁকে বৈঠক থেকে বিরত রাখতেই ইডি ১৩ সেপ্টেম্বর তলব করেছে বলে অভিযোগ অভিষেকের।
ইন্ডিয়া জোটের কোঅর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকের দিন ইডি-র তলবের বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “বৈঠকে যোগ দিতে হলে আমাকে দুপুর ২টোর মধ্যে দিল্লি পৌঁছতে হত। আমাকে ইডি-র কলকাতা অফিসে আমাকে ডেকে পাঠালে সকাল সাড়ে ১১টায়। ১৩ তারিখ না ডেকে আমাকে ১৪ তারিখ, ১২ তারিখ বা ১৫ তারিখ ডাকলে আমি বৈঠকে যেতে পারতাম। আজ ডাকার ফলে এটা স্পষ্ট, ভারতীয় জনতা পার্টি বেছে বেছে তৃণূলের কংগ্রেসের প্রতিনিধিকে আটকেছে। বিরোধী জোট গঠনে তৃণমূলের ভূমিকা কী তা স্পষ্ট। তাই তৃণমূলকে এরা রুখতে চায়। অনেকেই ছিল, কিন্তু ডাকল আমাকে। সিনিয়র নেতৃত্ব যাঁরা আজকের মিটিংয়ে ছিলেন আমি সকলকে নতমস্তকে, বিনম্র চিত্তে আমার কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যাঁরা রাজনৈতিক লড়াই করতে না পেরে তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ব্যাঘাত ঘটায় তাঁদের জবাব মানুষ দেবে।”
ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিন অভিষেককে ইডি-র তলব নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধী জোটের অন্যান্য নেতারা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করেই অভিষেককে তলব করা হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা সঞ্জয় রাউত, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা ও আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা অভিষেকের ইডি তলব নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন।