Kunal Ghosh: ‘মমতাকে জেতাতে পারেন না, তাঁরা আবার রাজ্য চালাবেন’, কারা কুণালের নিশানায়?

TMC: একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বছর জানুয়ারিতে নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, "আমি নন্দীগ্রামকে ভালবাসি। আমি যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়? আমি নন্দীগ্রাম থেকে লড়ব। সুব্রত বক্সিকে বলব আমার নাম রাখতে। নন্দীগ্রাম থেকে নতুন করে জন্ম হল তৃণমূলের।" রাজ্যস্তরের নেতাদের মধ্যে থেকে নন্দীগ্রামের ভোটের ভার সুব্রত বক্সির হাতেই সঁপেছিলেন 'মমতাদি'। তবে জয় আসেনি।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2024 | 5:34 PM

কলকাতা: তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের রাজ্য সভাপতিকে কড়া ভাষায় সমালোচনা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। সুব্রত বক্সির একটি বক্তব্যকে সামনে রেখে তাঁকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তুলে আনেন ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম আসনের ফলাফলের কথাও। কুণাল বলেন, “নন্দীগ্রামে মমতাকে যাঁরা জেতাতে পারেনি, তাঁরা রাজ্য চালাবেন?” কুণালের দাবি, মমতার পর অভিষেকই তাঁর ব্যাটন হাতে নেওয়ার যোগ্য। তাই মমতার কাছে আনুগত্য দেখাতে গিয়ে মমতা অভিষেকের মাঝখানে কেউ যেন ঢুকে না পড়েন।

একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বছর জানুয়ারিতে নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, “আমি নন্দীগ্রামকে ভালবাসি। আমি যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়? আমি নন্দীগ্রাম থেকে লড়ব। সুব্রত বক্সিকে বলব আমার নাম রাখতে। নন্দীগ্রাম থেকে নতুন করে জন্ম হল তৃণমূলের।” রাজ্যস্তরের নেতাদের মধ্যে থেকে নন্দীগ্রামের ভোটের ভার সুব্রত বক্সির হাতেই সঁপেছিলেন ‘মমতাদি’। তবে জয় আসেনি।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের নন্দীগ্রাম ভোট জিততে পাঠিয়েছিলেন। কারা ছিলেন ভোটের দায়িত্বে? কেন মামলার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মুখ বিক্রি করতে পারেন না জনতার দরবারে। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ ঘরে ঘরে রয়েছে। অথচ সেই ভোটও করাতে পারেননি। কারা ছিলেন দায়িত্বে? তাঁদের হাতে রাজ্যের দল নিরাপদ, হয় নাকি কখনও?”

কুণালের কথায়, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা এই বিভাজন পছন্দ করছেন না। তাঁরা জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ, তার পর তাঁর ব্যাটন ধরার ক্ষমতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে। নাম না করেই বক্সিকে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী ছিলেন। যাঁরা নন্দীগ্রাম ভোটের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা একটা ক্লিয়ার জয় দিতে পারলেন না। তাঁরা রাজ্য সংগঠন নিয়ে কী মাথা ঘামাচ্ছেন?”