কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী ভর্তি করানো ঘিরে বিতর্কের পর থেকেই চর্চায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এবার আবার রাজনীতি থেকে সন্ন্যাসের ইঙ্গিত দিয়ে মদনবাবু বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন, কিন্তু তৃণমূল ছাড়বেন না। সচিন-ধোনিরা অবসর নিতে পারলে, তিনি কেন অবসর নিতে পারবেন না, সেই প্রশ্নও নিজেই উস্কে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পর প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। তিনি অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মদন মিত্র তৃণমূলে আছেন এবং আগামীতেও থাকবেন। বললেন, ‘উনি রাজনীতিতে ছিলেন, আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। এটা ওনার জীবন দর্শনের ব্যাপার। ওনার ইচ্ছা হতেই পারে, অনেক দূরের কোনও গ্রহে একটা ছুটি কাটাতে যাবেন।’
কুণাল ঘোষের ব্যাখ্যা, ‘মদন মিত্র একটি কালারফুল, বড় ব্যাপার। আপনারা আজ দেখাবেন, বিদ্রোহ-বেলাগাম। কাল দেখাবেন লাগাম, দলের প্রতি অনুগত। মদন মিত্র দলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।’ এই কথা বলার পরপরই বিজেপির সুব্রমনিয়াম স্বামীর প্রসঙ্গ টানেন কুণাল ঘোষ। তাহলে কি মদন মিত্রকে সুব্রমনিয়াম স্বামীর সঙ্গে তুলনা করছেন তৃণমূল মুখপাত্র? প্রশ্ন করতেই কুণালের জবাব, ‘আমি একবারও তা বলিনি। আমি বলেছি, ওদের একজন বলেন, যাঁর কথা পরে চেঞ্জ করতে হয়। মদনদা তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সিনিয়র লিডার। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মদনদা একজন কালারফুল লোক। আজকেই তো তিনি কোনও একটি জেলায় রয়েছেন, সেখানেও তো দলের ব্যানারেই রয়েছেন।’
উল্লেখ্য, এসএসকেএম বিতর্কের পর শনিবার সন্ধেয় ইডেনে আইপিএল ম্যাচ দেখতে যাওয়ার আগে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মদন মিত্র। উভয়ের মধ্যে বেশ খানিক্ষণ কথা হয়। পরে মদন ও কুণাল একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, চ্যাপ্টার ক্লোজড়। কুণাল ঘোষের ব্যাখ্যা ছিল, মদন মিত্রর আবেগের বিস্ফোরণ হয়েছিল। আবার মদন মিত্রও বলেছিলেন, যাই হয়ে যাক না কেন, দিনের শেষে সকলেই তৃণমূল।