TMC: শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের

সৌরভ গুহ | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 10, 2025 | 6:33 PM

TMC: দলবিরোধীকাজের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। তৃণমূল মজুমদার প্রেসমিট করে বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরাবুল ইসলাম ও শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করেছে।"

TMC: শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের
বহিষ্কৃত আরাবুল ইসলাম ও শান্তনু সেন
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন তৃণমূলের মুখপাত্র চিকিৎসক শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হল ভাঙড়ের নেতা আরাবুল ইসলামকেও। দলবিরোধীকাজের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। তৃণমূল মজুমদার প্রেসমিট করে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরাবুল ইসলাম ও শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করেছে।”

আরজি কর কাণ্ডের পর প্রথম মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে। দলের বেআইনি কথা বলেছিলেন তিনি। সরাসরি তিনি নিশানা করেছিলেন আরজিকরের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। তারপরই তাঁকে খেসারত দিতে হয়। দলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শান্তনু সেনকে।

কাকতালীয়ভাবে সেবারেও সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। কেবল শান্তনুই নন,  তাঁর স্ত্রী কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি সেনকে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে তৈরি হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলে ধরে নেওয়া হয়েছিল, এসবের পিছনে রয়েছে আরজি কাণ্ডে শান্তনু মন্তব্য।

এরপর দেখা যায়, সব মিটে যাওয়ার পর ডায়মন্ডহারবারে চিকিৎসকদের নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বৈঠক ছিল, তাতে আগে মুখ্য আয়োজকের জায়গার নাম ছিল শান্তনু সেনের। পরে সে নাম পরিবর্তিত হয়ে যায়। নতুন করে কার্ড ছাপানো হয়। তাও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। তা নিয়েও কম চর্চা হয় না।

এরপর ফেজ থ্রি! রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের পদ থেকেও সরানো হয় শান্তনু সেনকে। সেই আবেদন জানিয়েছিলেন খোদ সুদীপ্ত রায়। কিন্তু গত কয়েক মাসের আবহে মনে হয়েছিল, দলের সঙ্গে শান্তনুর দূরত্ব হয়তো কিছুটা মিটেছে! তা মিথ্যা প্রমাণিত এদিন।

এদিকে আরাবুল ইসলাম! যিনি মোটামুটি ভাঙড়ের রাজনীতিতে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। শেষ পর্যন্ত ভাঙড়ের রাজনীতির চালিকাশক্তি কে হবেন? প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম না ক্যানিং পূর্বের বর্তমান বিধায়ক শওকত মোল্লা? তা নিয়ে যখন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভাঙড়ের মাটিতে, তখন সাসপেন্ডেড আরাবুল।

শওকত মোল্লার সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্যে ঝামেলার নজির, আর তাতে কোপ আরাবুলের ওপর। শওকতের সঙ্গে তাঁর আইনি লড়াই দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল আগেই। তাতে শেষ পেরেক পোতা হয়েছিল ১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন। সেদিন আরাবুলের অভিযোগ ছিল, পতাকা উত্তোলনে তাঁকে বাধা দিয়েছেন শওকত মোল্লা ও তাঁর অনুগামীরা। তাঁর ওপর হামলা চালানো, গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে এফআইআরও করেন তিনি। দল যে সেটা ভালভাবে নেয়নি, এদিন প্রমাণ মিলল তার।

Next Article