কলকাতা: অমিত শাহর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার (২৭ অক্টোবর), বাংলা সফরে এসে পেট্রাপোল সীমান্তে এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সরকারি অনুষ্ঠান থেকে অমিত শাহ রাজনৈতিক ভাষণ রেখেছেন বলে অভিযোগ করল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, এতে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এদিন রাজ্যসভার সাংসদ ততা দলের সভাপতি সুব্রত বক্সী এই চিঠি পাঠান।
চিঠিতে সুব্রত বক্সী বলেছেন, গত রবিবার, পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় একটি সমন্বিত চেক পোস্ট, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আগে ১৫ অক্টোবরই বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। অবিলম্বে আদর্শ আচরণবিধিও জারি করা হয়েছিল। সেই বিধিতে বলা আছে, মন্ত্রীরা একসঙ্গে সরকারি সফর এবং নির্বাচনী প্রচারের কাজ চালাতে পারবেন না। নির্বাচনী কাজের জন্য সরকারী পরিবহন, কর্মী ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবে না ক্ষমতাসীন দল। হাড়োয়া এবং নৈহাটিতে উপনির্বাচন হবে। তার জন্য উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় এই বিধি জারি রয়েছে। কিন্তু, সরকারি সফরে পেট্রাপোলে এসে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজনৈতিকভাবে মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, পেট্রাপোলের অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং সেই দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন। ওই মঞ্চ থেকে তিনি ‘২০২৬ সালে পরিবর্তন’-এর ডাক দিয়েছেন। যার সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানের কোন যোগ ছিল না। কাজেই, সরকারি কাজ এবং নির্বাচনী কাজের মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিপ্রায় নিয়ে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ফলে, তিনি আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন।
এই প্রেক্ষিতে, নির্বাচন কমিশনের কাছে অমিত শাহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনের আগে, অমিত শাহ এবং অন্যান্য বিজেপি নেতাদের আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করা থেকে আটকাতে যাতে যথাযথ নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করা হয়েছে এই চিঠিতে।