কলকাতা: রাজ্যের ৭ কোটি মানুষকে আনা হবে স্বাস্থ্য বীমার আওতায়। ভোটের মাস ছয়েক বাকি থাকতেই এই ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে এই অতিমারির সময়ে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প বড় উপহার হতে চলেছে রাজ্যবাসীর জন্য। তবে ‘স্বাস্থ্য সাথী’র (Swasthya Sathi) কার্ড তৈরি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের হয়রানির ঘটনা ঘটেছে প্রায়শই। যে কারণে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নামক প্রকল্প এনেছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও কিছু ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর থেকেই যাচ্ছে।
রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের হাতে যাতে দ্রুত ‘স্বাস্থ্য সাথী’র কার্ড পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। সূত্রের খবর, এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাজির ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী, ও শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশীষ ভট্টাচার্য।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ভবনের এক শীর্ষকর্তা জানান, সকলকে ‘স্বাস্থ্য সাথী’র আওতায় আনার প্রক্রিয়াটি কীভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কলকাতার পুর কমিশনার এবং হাওড়ার জেলাশাসকও উপস্থিত ছিলেন আজকের বৈঠকে। স্বাস্থ্য ভবনের লক্ষ্য, ‘স্বাস্থ্য সাথী’র কার্ড হাতে থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ‘অধিকারী এফেক্ট’? পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে বদলি করল নবান্ন!
ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য বীমা নিশ্চিত করতে প্রতিটি পরিবারের একজন বরিষ্ঠ মহিলা সদস্যের নামে ‘স্বাস্থ্য সাথী’র কার্ড করা হবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। সেই একটি কার্ডের মাধ্যমে ওই পরিবার বছরভর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে। সেটা সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে। সরকারের তরফে চালু হওয়া এই সুবিধার পাশাপাশি অন্যান্য পরিষেবাও যাতে জনগণ সহজে হাতের কাছে পেতে পারে, সেই জন্য ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে অন্যান্য প্রকল্পের থেকেও ‘স্বাস্থ্য সাথী’ বর্তমান সময়ে অনেক বেশি মানুষের দুশ্চিন্তার বোঝা হালকা করতে সক্ষম। সেই কারণেই এই প্রকল্প প্রত্যেক দরজায় পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তা কার্যকর করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন: এই ৯ মুখ একুশের নির্বাচনের হিসেব বদলে দিতে পারে