টসিলিজুমাবকাণ্ডে আরও কঠোর স্বাস্থ্যভবন, তদন্ত কমিটিতে আনা হল দুই ডব্লুবিসিএস অফিসার

Jun 05, 2021 | 7:41 AM

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এই জীবনদায়ী ওষুধের কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির (Nirmal Maji)।

Follow Us

কলকাতা: টসিলিজুমাবকাণ্ডের (Tosilizumab) তদন্তে আগেই কমিটি গড়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। এবার সেই কমিটিতে দু’জন ডব্লুবিসিএস অফিসারকে নিযুক্ত করল তারা। স্বাস্থ্য ভবনের কড়া বার্তা, অভিযুক্ত কে তা দেখার দরকার নেই। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। এই বার্তা নিয়েই তদন্ত কমিটিতে স্বাস্থ্য ভবনের দুই ডব্লুউবিসিএস আধিকারিক।

সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক বড়সড় কেলেঙ্কারি সামনে আসে। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ টসিলিজুমাব গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্যাথলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্মে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন তৈরি করে এই দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। আর তাতে নাম জড়ায় হাসাপাতালেরই নার্স-সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের। একইসঙ্গে নাম উঠে আসে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজিরও।

অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের স্পেসমেন এক্সামিনেশন ফর্মে সঙ্কটজনক করোনা রোগীর চিকিৎসায় টসিলিজুমাবের রিক্যুইজিশন। এক সঙ্গে ২৬টি টসিলিজুমাব বেহাত হয়ে গিয়েছে বলেও দেখা যায়। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এক মহিলা চিকিৎসকের যুক্ত থাকার ইঙ্গিত মেলে। একটি ফোনালাপের সূত্র ধরে ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করে বিষয়টি। পরে দেখা যায় এ ভাবে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার প্রাণদায়ী ওষুধ উধাও হয়ে গিয়েছে।

ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে পৃথক তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তিনজনের কমিটিতে রাখা হয় মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া, কার্ডিওথোরাসিক এবং সার্জারি বিভাগের চিকিৎসককে। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। এরইমধ্যে শুক্রবার এই কমিটিতে দু’জন ডব্লু‌বিসিএস অফিসারকে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ভবন।

একইসঙ্গে শুক্রবার টসিলিজুমাব উধাওয়ের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, চেয়ারম্যান নিজেই জড়িত কোভিডের এই জরুরি ওষুধ সরানোর ঘটনায়। তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তাতে সঠিক তদন্ত হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকছে। কিন্তু এরকম একটা গুরুতর বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। আগামী ৭ জুন এই মামলার শুনানি হবে।

কলকাতা: টসিলিজুমাবকাণ্ডের (Tosilizumab) তদন্তে আগেই কমিটি গড়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। এবার সেই কমিটিতে দু’জন ডব্লুবিসিএস অফিসারকে নিযুক্ত করল তারা। স্বাস্থ্য ভবনের কড়া বার্তা, অভিযুক্ত কে তা দেখার দরকার নেই। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। এই বার্তা নিয়েই তদন্ত কমিটিতে স্বাস্থ্য ভবনের দুই ডব্লুউবিসিএস আধিকারিক।

সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক বড়সড় কেলেঙ্কারি সামনে আসে। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ টসিলিজুমাব গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্যাথলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্মে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন তৈরি করে এই দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। আর তাতে নাম জড়ায় হাসাপাতালেরই নার্স-সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের। একইসঙ্গে নাম উঠে আসে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজিরও।

অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের স্পেসমেন এক্সামিনেশন ফর্মে সঙ্কটজনক করোনা রোগীর চিকিৎসায় টসিলিজুমাবের রিক্যুইজিশন। এক সঙ্গে ২৬টি টসিলিজুমাব বেহাত হয়ে গিয়েছে বলেও দেখা যায়। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এক মহিলা চিকিৎসকের যুক্ত থাকার ইঙ্গিত মেলে। একটি ফোনালাপের সূত্র ধরে ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করে বিষয়টি। পরে দেখা যায় এ ভাবে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার প্রাণদায়ী ওষুধ উধাও হয়ে গিয়েছে।

ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে পৃথক তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তিনজনের কমিটিতে রাখা হয় মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া, কার্ডিওথোরাসিক এবং সার্জারি বিভাগের চিকিৎসককে। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। এরইমধ্যে শুক্রবার এই কমিটিতে দু’জন ডব্লু‌বিসিএস অফিসারকে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ভবন।

একইসঙ্গে শুক্রবার টসিলিজুমাব উধাওয়ের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, চেয়ারম্যান নিজেই জড়িত কোভিডের এই জরুরি ওষুধ সরানোর ঘটনায়। তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তাতে সঠিক তদন্ত হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকছে। কিন্তু এরকম একটা গুরুতর বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। আগামী ৭ জুন এই মামলার শুনানি হবে।

Next Article