TV9 Bangaliana: সাহিত্যে নোবেল না পেলে সৃষ্টি কি মূল্যহীন? পুরস্কারই মাপকাঠি?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 13, 2022 | 6:40 PM

TV9 Bangaliana: প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক চিন্ময় গুহও মনে করেন, নোবেল পুরস্কারই সব এমনটা নয়। একই মত সুবোধ সরকারেরও।

Follow Us

পুরস্কারেই কি প্রতিভার স্বীকৃতি? বহু সময়ই বলা হয়, কই বাঙালি তো আর সাহিত্যে নোবেল পেল না! কোথাও কি তা হলে আটকে গেল বাঙালির সাহিত্যযশ? চলচ্চিত্র ও থিয়েটার সমালোচক শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, বিশ্বে এমন বহু সাহিত্যিক রয়েছেন যাঁদের ঝুলিতে নোবেল নেই। নোবেল পুরস্কারের বিচার তাঁর কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং শমীকবাবুর কথায়, “বিশ্ব রাজনীতির খেলা নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে জড়িত। আমি বিচার করব পাঠক সংখ্যা এবং বৈচিত্রের ভাষা দিয়ে।” সেটাই তুলে ধরবে বাংলা সাহিত্য এগিয়ে চলেছে নাকি তার গতি কোথাও ধাক্কা খাচ্ছে। প্রকাশক অনিল আচার্যের কথায়, বাংলায় পাঠক সংখ্যা বেড়েছে। আর এই পাঠকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে শিক্ষা। গত ১০০ বছরে শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে, নিম্নবর্গের মানুষও শিক্ষার একটা স্তরে এসেছেন, মত অনিলবাবুর। তবে সবস্তরে পাঠক যে এখনও তৈরি হয়নি সে কথাও মানছেন তিনি।

কবি সুবোধ সরকারও মনে করেন, সাহিত্যের অগ্রগতি পুরস্কার দিয়ে মাপা যায় না। তাঁর মতে, “একটা সাহিত্যের ভাষা তার নিজস্ব ভাষাগণ্ডীর মধ্যে, ভাষার ভূগোলের মধ্যে, ভাষার ইতিহাসের মধ্যে বড় হয়। বিস্তারিত হয়। তবে বাংলা ও মালয়ালম ভাষায় যেভাবে পাঠক ব্যাপ্তি আছে সেটা অন্য কোনও ভাষায় নেই। এমনকী হিন্দিতেও নেই। একটা বাংলা কবিতার বই, একটা উপন্যাস, একটা ছোট গল্পের বই যে পরিমাণে বিক্রি হয়, যেভাবে সাড়া জাগায় এত রাজ্যে হিন্দিতে কথা বলা হলেও তা কিন্তু সাড়া জাগায় না।” এ প্রসঙ্গে টিভি নাইন নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাস বলেন, “আমার মনে হয় না ভারতবর্ষের কোনও দেশে বইমেলা একটা ক্যালেন্ডার ইভেন্ট।”

প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক চিন্ময় গুহও মনে করেন, নোবেল পুরস্কারই সব এমনটা নয়। চিন্ময় গুহর কথায় পাশ্চাত্যমুখী নোবেল পুরস্কার দিয়ে সাহিত্যের বিচার খুব প্রাসঙ্গিক এমন বলা যায় না। বরং তাঁর মত, “এর মধ্যে রাজনৈতিক নানারকম কার্যকলাপ কাজ করে।” তবে পাঠকের ব্যাপ্তি নিয়েও খুব একটা খুশি নন চিন্ময়বাবু। তার কথায়, ছ’য়ের দশকে যেভাবে মানুষ পড়তেন, এখন কি পড়েন? ব্যাপ্তির তুলনায় পাঠের গভীরতাতেই জোর দিচ্ছেন তিনি।

পুরস্কারেই কি প্রতিভার স্বীকৃতি? বহু সময়ই বলা হয়, কই বাঙালি তো আর সাহিত্যে নোবেল পেল না! কোথাও কি তা হলে আটকে গেল বাঙালির সাহিত্যযশ? চলচ্চিত্র ও থিয়েটার সমালোচক শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, বিশ্বে এমন বহু সাহিত্যিক রয়েছেন যাঁদের ঝুলিতে নোবেল নেই। নোবেল পুরস্কারের বিচার তাঁর কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং শমীকবাবুর কথায়, “বিশ্ব রাজনীতির খেলা নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে জড়িত। আমি বিচার করব পাঠক সংখ্যা এবং বৈচিত্রের ভাষা দিয়ে।” সেটাই তুলে ধরবে বাংলা সাহিত্য এগিয়ে চলেছে নাকি তার গতি কোথাও ধাক্কা খাচ্ছে। প্রকাশক অনিল আচার্যের কথায়, বাংলায় পাঠক সংখ্যা বেড়েছে। আর এই পাঠকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে শিক্ষা। গত ১০০ বছরে শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে, নিম্নবর্গের মানুষও শিক্ষার একটা স্তরে এসেছেন, মত অনিলবাবুর। তবে সবস্তরে পাঠক যে এখনও তৈরি হয়নি সে কথাও মানছেন তিনি।

কবি সুবোধ সরকারও মনে করেন, সাহিত্যের অগ্রগতি পুরস্কার দিয়ে মাপা যায় না। তাঁর মতে, “একটা সাহিত্যের ভাষা তার নিজস্ব ভাষাগণ্ডীর মধ্যে, ভাষার ভূগোলের মধ্যে, ভাষার ইতিহাসের মধ্যে বড় হয়। বিস্তারিত হয়। তবে বাংলা ও মালয়ালম ভাষায় যেভাবে পাঠক ব্যাপ্তি আছে সেটা অন্য কোনও ভাষায় নেই। এমনকী হিন্দিতেও নেই। একটা বাংলা কবিতার বই, একটা উপন্যাস, একটা ছোট গল্পের বই যে পরিমাণে বিক্রি হয়, যেভাবে সাড়া জাগায় এত রাজ্যে হিন্দিতে কথা বলা হলেও তা কিন্তু সাড়া জাগায় না।” এ প্রসঙ্গে টিভি নাইন নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাস বলেন, “আমার মনে হয় না ভারতবর্ষের কোনও দেশে বইমেলা একটা ক্যালেন্ডার ইভেন্ট।”

প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক চিন্ময় গুহও মনে করেন, নোবেল পুরস্কারই সব এমনটা নয়। চিন্ময় গুহর কথায় পাশ্চাত্যমুখী নোবেল পুরস্কার দিয়ে সাহিত্যের বিচার খুব প্রাসঙ্গিক এমন বলা যায় না। বরং তাঁর মত, “এর মধ্যে রাজনৈতিক নানারকম কার্যকলাপ কাজ করে।” তবে পাঠকের ব্যাপ্তি নিয়েও খুব একটা খুশি নন চিন্ময়বাবু। তার কথায়, ছ’য়ের দশকে যেভাবে মানুষ পড়তেন, এখন কি পড়েন? ব্যাপ্তির তুলনায় পাঠের গভীরতাতেই জোর দিচ্ছেন তিনি।

Next Video