কলকাতা: উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। ওটির ফিউমিগেশনের (জীবাণুনাশকরণ) মধ্যে অস্ত্রোপচারে বিপদ হতে পারে রোগীর, এ কথা মানছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ব্যক্তিরাও। কেন ওটি বন্ধ রেখে ফিউমিগেশন কর হল না? ওটি কক্ষের সংখ্যা কম হলে স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়নি কেন? রোগীর চাপ সামলানোর যুক্তি দুর্বল, ঘনিষ্ঠ মহলে এমনই পর্যবেক্ষণ স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের।
মেদিনীপুরে সংক্রমণের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর মধ্যে উলুবেড়িয়ার হাসপাতালে OT-তে ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়ে। একদিকে যখন চলছে প্রসূতির অস্ত্রোপচার, স্ট্রেচারে শুয়ে রোগী, ঠিক তখনই মিউরিয়াটিক অ্যাসিড দিয়ে মোছা হচ্ছে ঘরের মেঝে। এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়, অ্যাসিডের ঝাঁঝেই কাশি শুরু হয় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের। জানা যাচ্ছে, ড্রাগ কর্নারের নীচে কাদা ছিল, আর টেবিলে শুয়ে রোগী!
এ প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতে বলেন, “২০২৩-২৪ এই সময়টার মধ্যে মেটার্নাল ডেথ হয়েছে। একই ধরনের সমস্যা। প্রেগন্যান্সি, তারপর কিডনির সমস্যা, তারপর হিমোলাইসিস, কোয়াগুলাপ্যাথি, শক তারপরই মৃত্যু। স্বাস্থ্যভবনের ভূমিকা কী? ওটি-গুলোর কী অবস্থা?”