Purulia: ‘সাধুরা মার খাচ্ছেন, সরকার চুপচাপ বসে দেখছে’, বাংলায় সাধুদের উপর হামলায় তীব্র ধিক্কার অনুরাগের

Anurag Thakur: সাধুদের উপর হামলার এই অনভিপ্রেত ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। শনিবার সকালে কলকাতায় পা রেখেই সাধুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় তীব্র ভাষায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এমন বাতাবরণ কেন তৈরি হচ্ছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন অনুরাগ ঠাকুরের।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2024 | 10:28 PM

কলকাতা: গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে পুরুলিয়ার কাশীপুর এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন সাধু। জানা যাচ্ছে, উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গাসাগরের মেলায় যাওয়ার জন্য আসছিলেন তাঁরা। গতকালের ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাশীপুর থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু গতকালের এই অনভিপ্রেত ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। শনিবার সকালে কলকাতায় পা রেখেই সাধুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় তীব্র ভাষায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এমন বাতাবরণ কেন তৈরি হচ্ছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন অনুরাগ ঠাকুরের।

কলকাতা বিমানবন্দরে চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বললেন, “এমন বাতাবরণ কেন তৈরি হচ্ছে? তুষ্টিকরণের রাজনীতি এই ধরনের বাতাবরণ তৈরি করছে। রাজ জন্মভূমির শিলান্যাসের সময় বাংলায় কার্ফুর মতো পরিস্থিতি তৈরি করে দেওয়া হয়। আর এখন সাধুদের মারপিট করে, তাঁদের হত্যার চেষ্টা পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের আরও সংযোজন, “রাজ্য সরকার চুপচাপ বসে দেখা ছাড়া আর কিছু করছে না। সংবাদমাধ্যম যখন বিষয়টি তুলে ধরে, তখন গিয়ে তদন্ত করছে। প্রশ্ন উঠছে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”

কাশীপুরে সাধুদের উপর হামলার ঘটনায় পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানাচ্ছেন,  একটি গাড়িতে তিনজন সাধু যাচ্ছিলেন। অন্যান্য যাত্রীরাও ছিলেন। সেই সময় গাড়ি থামিয়ে পথচলতি তিনজন স্থানীয় মহিলাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাঁরা। সেই সময় কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয় এবং মহিলারা চিৎকার করতে থাকেন।  তখন স্থানীয় লোকজনরা গাড়িটি ভাঙচুর করে এবং সাধুদের মারধর করে।

পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, পুলিশ খবর পাওয়া মাত্রই সাধুদের সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁদের প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য করে। তাঁদের গাড়িতে যে ভাঙচুর হয়েছিল, সেটিও মেরামতের ব্যবস্থা করে স্থানীয় থানা। তারপর সাধুরা নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও খোঁজ চালানো হচ্ছে।