কলকাতা: শুক্রবার কামদুনি মামলার রায় জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা পাওয়া একজনকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের রায়ের পর হতাশা ঝরে পড়ছে কামদুনির প্রতিবাদী মুখদের গলায়। আর এবার কামদুনির ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের দিল্লি অভিযানের চার দিন পর আজ কলকাতায় নিরঞ্জন জ্যোতি। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে সল্টলেকে বিজেপির অফিসে একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠকও করেন। সেই সময়েই কামদুনি প্রসঙ্গ উঠে আসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গলায়। রাজ্যের সরকারি উকিলদের ভূমিকা ও নারী নিরাপত্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূমিকা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন সাধ্বী নিরঞ্জন।
এদিন বিজেপির সল্টলেকের অফিস থেকে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, “২০১৩ সালে দিল্লির মতো ঘটনা ঘটেছিল। ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। আইন-শৃঙ্খলা কোথায় চলে গিয়েছিল! এখান তারা বলছে, তারা দিল্লিতে গেলে ন্যায় পাবে, এখানে পাবে না। এটা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে আশা করা যায় না। একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা হল। তারপর ফাঁসির বদলে মুক্তি পেয়ে গেল। সরকারি উকিলরা কী করছে! আমি তো এমন ঘটনা প্রথম দেখছি।”
যদিও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর এই খোঁচার পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তাঁর যুক্তি, “পুলিশ প্রশাসন তথ্য প্রমাণ দিয়েছিল। নিম্ন আদালত যখন সাজা দিয়েছিল, তখন নিশ্চয়ই পুলিশ প্রশাসন তথ্য প্রমাণ জমা দিয়েছিল। আমাদের যে সদিচ্ছা ছিল না, এমন কোনও বিষয় নেই। পকসো কেসে সবথেকে বেশি সাজা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সচেতন। যাঁরা আজ লাফাচ্ছেন, তাঁরা এতদিন সেখানে যাননি।”