কলকাতা: সেনার মতো পোশাক পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েছিল একদল যুবক-যুবতী। ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সদর্পে। সকলে দেখে ভাবছিল, ক্যাম্পাসে কি সেনা নামল? যদিও ভুল ভাঙে মুহূর্তে। সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করতেই দাবি করে, তারা নাকি ‘বিশ্ব শান্তি সেনা ভলান্টিয়ার্স’। ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এটি। জনৈক কাজি সাদেক হোসেন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গিয়েছে। যেখানেই ঝামেলা হয়, শান্তির বার্তা নিয়ে তাঁরা নাকি সেখানে গিয়ে হাজির হন। কিন্তু কেন এ ধরনের পোশাকে তারা ঘোরে, কী উদ্দেশ্য, কোথায় উৎসই বা কী সবকিছুরই খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। এই ঘটনায় যাদবপুরের উপাচার্যকেও চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পাল্টা উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, কে কী পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকছে তা দেখার কাজও কি তাঁর? এদিকে এই ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় কাজি সাদেক হোসেনকে গার্ডেনরিচ এলাকা থেকে আটক করে যাদবপুর থানার পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোনোর সময় উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “কয়েকদিন আগে শুনলাম ভাইস চান্সেলারকে চিঠি পাঠিয়েছে থানা থেকে। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এসেছে তাই। আমি জানি না কেন আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন। উল্টে আমি তো বলতে পারি, ঢুকল কী করে? এটা অ্যাকাডেমিক ইন্সটিটিউট। এখানে আমরা পড়াই। এখানে কোন ড্রেসে ঢোকা যায় না, কী থাকলে ঢোকা যায় না সেটাই কি আমরা দেখব নাকি বুঝলাম না।”
উপাচার্য বলেন, লালবাজারকে জবাবের বিষয়ে ইতিমধ্যেই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। বুদ্ধদেব সাউয়ের বক্তব্য, “আইনজীবীদের মতামত নিলাম। উনি রাইট আপ দেবেন। কে ভুয়ো কী করে জানব আমরা? আমি ওদের বলেছিলাম রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র দেখাতে। এরপর তাদের কেউ আর আসেনি।”