Vehicle Rule 2019: পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই ধরপাকড়ে জোর, ৪৫টি বাসকে ‘আনফিট’ তকমা কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের!
Kolkata Traffic Police: মঙ্গলবার দেখা যায়, ৬২এ/১৮২বি মোটর ভেহিকেলস আইন মেনে রীতিমতো চলল ধরপাকড়। করা হল জরিমানাও। মোট ৪৫ টি বাসকে আনফিট তকমা দেওয়া হল।
কলকাতা: বাড়ানো হয়েছে জরিমানার অঙ্ক। কিন্তু দুর্ঘটনা এড়ানো হচ্ছে না। ধর্মতলা মিনিবাস দুর্ঘটনার পর এ বার ফের কড়া হাতে ধরপাকড় চালাল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ (Kolkata Traffic Police)। প্রায় ৪৫ টি বাস ‘আনফিট’ তকমার জেরে আটকাল পুলিশ। করা হল জরিমানাও।
গত রবিবার ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আহত হন একাধিক। কেন আচমকা এমন দুর্ঘটনা তা দেখতে তদন্তে নামে পুলিশ। আসে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের টিমও। জানা যায়, বাসটির বিমার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল ২০১৮ সালেই। পাশাপাশি, বাসটি ছিল ‘আনফিট’। যন্ত্রাংশের গোলমাল ছিলই। যার জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ বার তাই আরও কড়া কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
মঙ্গলবার দেখা যায়, ৬২এ/১৮২বি মোটর ভেহিকেলস আইন মেনে রীতিমতো চলল ধরপাকড়। করা হল জরিমানাও। মোট ৪৫ টি বাসকে আনফিট তকমা দেওয়া হল। ফিট সার্টিফিকেট ছাড়াই চলছিল ওই বাসগুলি। পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, ওই আটক হওয়া বাসগুলির অনেকগুলিরই বিমার মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। বাসগুলি আটক করে জরিমানাও করা হয়। প্রত্যেক বাস পিছু ১০,০০০ টাকা করে জরিমানা করে বাসগুলি আটক করা হয়।
কিছুদিন আগেই পরিবহনমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কোনওভাবেই জরিমানা কম করা হবে না। উপরন্তু, জরিমানা যাতে কোনওভাবে না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)। একের পর এক পথদুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে শহরে। সদ্যই রাজ্যের সংশোধিত ২০১৯ মোটর ভেইক্যাল আইন চালু হয়েছে। এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে জরিমানার অঙ্ক। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের সংগঠনগুলি। কিন্তু পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশের পর কার্যত কড়া কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী, আইন ভাঙলে লাইসেন্স সাসপেন্ড করতে পারবে পুলিশ। বিনা হেলমেটে বাইক চালালে জরিমানা ১ হাজার টাকা। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে জরিমানা ২ হাজার টাকা। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। তিন বছরের মধ্যে একই অপরাধে দশ হাজার টাকা জরিমানা। অ্যাম্বুলেন্সকে পথ না ছাড়লে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। দমকলকে পথ না ছাড়লেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরই রোড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রকের তরফে এক নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্টেট এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে ট্র্যাফিক নিয়ম যারা ভাঙছে, সেই সমস্ত মামলাতে ১৫ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠাতে হবে।
শুধু তাই নয়, বিজ্ঞপ্তিতে এটাও জানানো হয়, জরিমানা না হওয়া পর্যন্ত আইন ভাঙার সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে। সংশোধিত মোটর ভেইক্যাল অ্যাক্ট ১৯৮৯ অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
নয়া নিয়মে বলা হয়, ট্র্যাফিক নিয়ম নজর রাখার জন্যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ব্যবহার করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অন্য কোনও প্রযুক্তিও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়।
সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, স্পিড ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরা, স্পিড গান, বডি ওয়্যারেবেল ক্যামেরা, ড্যাসবোর্ড ক্যামেরা এবং অটোমেটিক নম্বর প্লেটকে চিহ্নিত করতে পারবে এই ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে পুলিশ। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা ও চালকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়।