Vehicle Rule 2019: জরিমানার অঙ্কে বদল নয়, চাপ দিয়ে সিদ্ধান্ত বদলেও ‘না’, কড়া বার্তা ফিরহাদের
Kolkata: কসবা রাজ্য পরিবহন দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় গণপরিবহন এবং পণ্য পরিবহনের ৭টি সংগঠন। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় তারা।
কলকাতা: জরিমানার অঙ্ক বাড়িয়েও রোখা যাচ্ছে না দুর্ঘটনা। একের পর এক পথদুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে শহরে। সদ্যই রাজ্যের সংশোধিত ২০১৯ মোটর ভেইক্যাল আইন চালু হয়েছে। এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে জরিমানার অঙ্ক। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের সংগঠনগুলি। অবশেষে পরিবহন মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই জরিমানা কম করা হবে না। উপরন্তু, জরিমানা যাতে কোনওভাবে না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)।
পরিবহনমন্ত্রী স্পষ্টই বলেছেন, “কেন চাপের মুখে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল হবে? তাহলে সরকার চলবে কী করে! যা জরিমানা নির্ধারিত হয়েছে তাই দিতে হবে। আইন ভাঙলে তার শাস্তি তো পেতে হবে। সকলকেই বলব, জরিমানা যাতে না হয়, সেটা কীভাবে সম্ভব সেদিকে নজর দিন।”
প্রসঙ্গত, কসবা রাজ্য পরিবহন দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় গণপরিবহন এবং পণ্য পরিবহনের ৭টি সংগঠন। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় তারা। সংগঠকদের বক্তব্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিত বর্ধিত জরিমানা যদি পরিবর্তন না করা হয়, তবে, বড়সড় আন্দোলনের পথে নামতে পারে তারা। এর আগেও বাস-ট্যাক্সি ট্রাক এবং অন্যান্য গণপরিবহন এবং পণ্য পরিবহনের মালিক পক্ষ পৃথক পৃথক ভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করেছে এবং রাজ্য সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।
এদিকে, পরিবহনমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “পরিবহন দফতর হল ছাগলের তিন নম্বর ছানা! ট্রাফিক পুলিশের হাতে সবকিছু থাকে না। নিজেরা যা মনে হয় তাই করে।”
উল্লেখ্য, সংশোধিত আইন অনুযায়ী, আইন ভাঙলে লাইসেন্স সাসপেন্ড করতে পারবে পুলিশ। বিনা হেলমেটে বাইক চালালে জরিমানা ১ হাজার টাকা। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে জরিমানা ২ হাজার টাকা। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। তিন বছরের মধ্যে একই অপরাধে দশ হাজার টাকা জরিমানা। অ্যাম্বুলেন্সকে পথ না ছাড়লে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। দমকলকে পথ না ছাড়লেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরই রোড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রকের তরফে এক নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্টেট এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে ট্র্যাফিক নিয়ম যারা ভাঙছে, সেই সমস্ত মামলাতে ১৫ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠাতে হবে।
শুধু তাই নয়, বিজ্ঞপ্তিতে এটাও জানানো হয়, জরিমানা না হওয়া পর্যন্ত আইন ভাঙার সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে। সংশোধিত মোটর ভেইক্যাল অ্যাক্ট ১৯৮৯ অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
নয়া নিয়মে বলা হয়, ট্র্যাফিক নিয়ম নজর রাখার জন্যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ব্যবহার করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অন্য কোনও প্রযুক্তিও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়।
সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, স্পিড ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরা, স্পিড গান, বডি ওয়্যারেবেল ক্যামেরা, ড্যাসবোর্ড ক্যামেরা এবং অটোমেটিক নম্বর প্লেটকে চিহ্নিত করতে পারবে এই ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে পুলিশ। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা ও চালকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়।