TMC: সাজা ঘোষণাও হয়ে যায়, তারপর ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই জামিন পেয়ে গেলেন TMC নেত্রী! কীভাবে?
TMC: একই সঙ্গে ওই মামলায় বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, দলের নেতা শেখ জামাল, কার্তিক বাগ সহ ১২ জন অভিযুক্তকে ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বর্ধমান: তৃণমূল কর্মীর বাবাকে খুনের চেষ্টার মামলা! দোষী প্রাপ্ত বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা-এর ৩ বছর কারাদণ্ড হয়। আর সাজা ঘোষণার ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানেই জামিন পেয়ে গেলেন তিনি। জামিন হল বর্ধমান আদালতে। আইন অনুযায়ী, তিন বছর কিংবা তিন বছরের কম সাজা হলে, জামিন পাওয়া সম্ভব। সেই মর্মেই জামিন পেলেন কাকলি।
একই সঙ্গে ওই মামলায় বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, দলের নেতা শেখ জামাল, কার্তিক বাগ সহ ১২ জন অভিযুক্তকে ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কাকলি তায়ের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস জানান, যেহেতু তিন বছরের সাজা ঘোষণা হয়। তাই সাজা প্রাপ্ত কাকলি তায়ের জামিনের জন্য আজকেই রিট পিটিশন জমা দেওয়া হয় বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্রাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্রের কাছে।তিনি ২০ হাজার টাকার বেলবণ্ডের বিনিময়ে পিটিশন গ্রহণ করে জামিন ঘোষণা করেন।তবে আজই কাকলি তা ছাড়া পাবেন কি না তা নির্ভর করছে আদালতের প্রক্রিয়ার উপর। তবে এই জামিন অস্থায়ী। হাইকোর্টে জামিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
গত সোমবার এই মামলায় ১৩ জন তৃণমূল হেভিওয়েট নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ফাস্ট ট্রাকে সেকেন্ড কোর্টের আদালতের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল ও তাঁর বাবা। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন তাঁরা।





