Mysterious Death: কালনার হোমে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! ‘আমার সন্দেহ ওকে কেউ মেরে দিয়েছে’, বিস্ফোরক অভিযোগ বাবার
Mysterious Death: তন্ময়ের বাড়ি কালনার লালবাগানে। ১০ বছরের এই শিশু সাতগাছিয়া হিন্দু মিশন বয়েজ ওয়েলফেয়ার হোমের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ২০২২ সাল থেকে সাতগাছিয়ার ওই হোমে পড়াশোনা করছিল।

কালনা: কালনার হোমে ছাত্রের মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য। একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিলেন মৃত ছাত্রের বাবা। কালনার সাতগাছিয়ায় ওই হোমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলা এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যাচ্ছে। মৃত ছাত্রর নাম তন্ময় দাস। খেলার সময় দোতলা থেকে পড়ে মৃত্যু ,দাবি হোম কর্তপক্ষর। যদিও মৃত ছাত্রের বাবা তন্ময় দাস বলছেন, সিসিটিভি ফুটেজে যে ছবি দেখা গিয়েছে তা তাঁর ছেলের নয়। তবে তাঁর ছেলের গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তাহলে মৃত্যু কীভাবে? তিনি মনে করেছেন এই মৃত্যু কোনওভাবই স্বাভাবিক নয়।
ইতিমধ্যেই ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হোমের কর্তারা বলছেন, দোতলার ক্যান্টিনে খেলার সময় ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়েছিল তন্ময়। সেখান থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু। কিন্তু, হোমের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থেকেও কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে হোম কর্তৃপক্ষের তরফে পরিবারের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
তন্ময়ের বাড়ি কালনার লালবাগানে। ১০ বছরের এই শিশু সাতগাছিয়া হিন্দু মিশন বয়েজ ওয়েলফেয়ার হোমের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ২০২২ সাল থেকে সাতগাছিয়ার ওই হোমে পড়াশোনা করছিল। এদিকে ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই তদন্তে নামে পুলিশ। শুক্রবার সকালে হোমে যান কালনা থানার আইসি এবং এসডিপিও। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগও। পাশাপাশি, দুপুর দু’টো নাগাদ মাস এডুকেশনের ডিরেক্টর উপালি রায়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও তদন্ত করতে যান।
মৃত ছাত্রের বাবা বলছেন, “সিসি ক্যামেরায় যাকে দেখা যাচ্ছে ও আমার ছেলে নয়। ও পড়ে গিয়ে মারা যেতে পারে না। আমার সন্দেহ ওকে কেউ মেরে দিয়েছে।” অন্যদিকে সাতগাছিয়া হিন্দু মিশন বয়েজ ওয়েলফেয়ার হোমের প্রধান শিক্ষক বলছেন, “বাচ্চারা এসেই আমাদের ঘটনার কথা জানাই। তারপরই আমরা ওখানে ছুটে যাই। অন্যান্য বাচ্চারা ওখানে ছিল। ঠিক কী ঘটেছিল তা পুলিশকে ওরা জানিয়েছে। বয়ানও দিয়েছে।”





