Water Problem: ‘যা জল দিচ্ছে, তা পানের অযোগ্য’, কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে তীব্র জলকষ্ট
Water Problem: তবুও আপাতত নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল! জল না মেলায় পুরসভার দেওয়া জলে কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের এই জলকষ্টের ঘটনাকে উল্লেখ করে টুইট করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

কলকাতা: গরম পড়তেই শহরে তীব্র জলকষ্ট। কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্রমগড় এলাকার তীব্র জলকষ্টে ভুগছেন এলাকাবাসী। গত ৫ এপ্রিল থেকে এলাকার ডিপ টিউবওয়েল মেরামতির কাজ চলছে। সেই কারণে এতদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এলাকার জল পরিষেবা। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, পুরসভার তরফে বাড়িতে এসে জল দিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিনে দু’বার। কিন্তু সেই জল পর্যাপ্ত নয়। জ্বলে বালি বালিও লাগছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এক বয়স্ক ব্যক্তি বললেন, “এভাবে তো থাকাটাই সমস্যা।” আরেক যুবক বলেন, “এই জল দিয়ে ঘরের অন্যান্য কাজ করা যায় বটে, তবে কোনওভাবেই এই জল পানীয় যোগ্য নয়।”
তবুও আপাতত নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল! জল না মেলায় পুরসভার দেওয়া জলে কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের এই জলকষ্টের ঘটনাকে উল্লেখ করে টুইট করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এলাকার কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাজকে সমালোচনা করেছেন তিনি।
এলাকার কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত জানান, ডিপ টিউবয়েলের সমস্যা রয়েছে সেটা মেরামতির কাজ চলছে। তিনি দাঁড়িয়ে থেকেই সব কাজ করাচ্ছেন। এলাকায় মানুষের বাড়িতে জল পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, এলাকার মানুষের যদি সত্যি কোন জলকষ্ট হয় এবং সেটা জানান তাঁরা। তাহলে তিনি কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তাঁর কথায়, “এই ব্রেক ডাউনটা হয় ৫ এপ্রিল। সববাড়িতে, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে দাঁড়িয়ে থেকে জল দিয়েছে। কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। সুকান্ত মজুমদার লাইম লাইটে আসার জন্য এই অভিযোগ করলেন।”





