কলকাতা: আশঙ্কা থাকলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েনি রাজ্যে। গভীর রাতে বাংলাদেশেই হয়েছে ল্যান্ডফল। আগামী ৬ ঘন্টায় শক্তিও হারিয়ে ফেলবে সেই ঘূর্ণিঝড়। তৈরি হবে অতি গভীর নিম্নচাপ। তার প্রভাবে বৃষ্টি বা ঝড়ের কোনও সম্ভাবনা রাজ্যে নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ায় কমবে তাপমাত্রা। শীঘ্রই শীতের আমেজ অনুভব করতে পারবেন রাজ্যবাসী। উত্তরে হাওয়ার প্রভাবও থাকবে রাজ্য জুড়ে। অর্থাৎ পুজো শেষেই যে এবার তল্পিতল্পা নিয়ে শীত ঢুকতে শুরু করেছে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলায় ক্রমশ উত্তরে হাওয়া প্রভাব বিস্তার করবে। আগামী দু-তিনেই সেটা বুঝতে পারবেন রাজ্যবাসী। রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমবে। পশ্চিমের জেলাগুলিত্ শীতের আমেজ খুব বেশি অনুভূত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি জেলাতেও হালকা শীতের আমেজ থাকবে।
একধাক্কায় দু থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে হাওয়া অফিস। সুতরাং আচমকা আবহাওয়া পরিবর্তনে স্বাস্থ্যে প্রভাব যাতে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখার কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে আজ বিসর্জনের দ্বিতীয় দিনে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। দিনে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকবে বলে জানা যাচ্ছে করা হচ্ছে। বুধবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৬৮ থেকে ৯৭ শতাংশ।