কলকাতা: শহর ও শহরতলিতে সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকেই বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়ার বদল হতে শুরু করেছিল। আজ সেই নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলের উপর অবস্থান করছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সেটি আরও শক্তি বাড়িয়ে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের ভিতরের দিকে এগিয়ে আসবে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের দিকের জেলাগুলিতে। ফলে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে প্রায় সর্বত্রই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
কলকাতা ও শহরতলিতে আজ দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতও হয়েছে। আগামিকাল কোথায় কেমন থাকবে আকাশ? রবিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। মঙ্গলবারও উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরের উপরে যে নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি রয়েছে, তা ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে। ফলে আগামী কয়েকদিন উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। এই কয়েকদিন বঙ্গোপসাগরে ৪৫-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে হাওয়া বইতে পারে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
শনিবার থেকেই উত্তরের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও দুই দিনাজপুরের কিছু কিছু ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবারও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও দুই দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সোমবার-মঙ্গলবারও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার। এর পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বুধবার থেকে কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ উভয় জায়গাতেই কমবে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার থেকে অনেকটা উন্নতি হবে আবহাওয়ার।