কলকাতা: অবশেষে স্বস্তির খবর। দক্ষিণবঙ্গেও পা রাখছে বর্ষা (Monsoon)। উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশের পরই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলেও, দক্ষিণবঙ্গে কাঠফাটা রোদই ছিল বিগত ক’দিন। আকাশ মেঘলা হলেও দেখা মিলছিল না বৃ্ষ্টির। অবশেষে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদেরও সুখের খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। রথের দিনই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে বর্ষা। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি (Rainfall)।
আজ সকাল থেকেই কালো মেঘে ঢাকা। সকাল সাতটা থেকেই কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। আজ দিনভর আবহাওয়া একইরকম থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আকাশ মূলত মেঘলাই থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি থাকবে, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে সর্বাধিক ৯১ শতাংশ আর্দ্রতা থাকতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া,হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায়। আগামী তিন ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে এই জেলাগুলিতে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও। জলপাইগুড়িতেও রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা।
গতকালই আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, রবি ও সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, অর্থাৎ আগামী ২০ জুন থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুরেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে।
অন্যদিকে, বর্ষার প্রবেশের পর উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী চার-পাঁচদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে। অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। আগামী তিনদিন বৃষ্টি জারি থাকবে।